,

হবিগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশীট থেকে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব জি.কে গউছের নাম প্রত্যাহারে দাবীতে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি জেলা বিএনপি। গতকাল সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলটি পৌরসভা মাঠ থেকে বের হতে চাইলে সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হয়। এক পর্যয়ে ধাওয়া করে পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর পূর্বে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌরসভার মাঠে মিলিত হয়। এ সময় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট খালিকুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন। সমাবেশে বক্তারা বলেন- হবিগঞ্জে বিএনপিকে নেতৃত্ব শূণ্য করতেই কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশীটে মেয়র জি.কে গউছকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতাদের জানা নেই, হামলা-মামলা দিয়ে যদি রাজনৈতিক কর্মীদের দমন করা যেত তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাসই অন্যরকম হত। আওয়ামীলীগ সরকার মেয়র জি.কে গউছকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আগুনে হাত দিয়েছে। তাই এর পরিনাম হবে ভয়াবহ। বক্তারা বলেন- সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই মেয়র জি.কে গউছকে কিবরিয়া হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই সরকার বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীকে হয়রানী করছে। আওয়ামীলীগের এই অপচেষ্টার সমোচিত জবাব দেয়া হবে। বক্তারা বলেন- আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপিদের পায়ের নীচে মাটি নেই। ফলে তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতাদের জানা নেই এর পরিনাম কত ভয়াবহ। যা অতিতে সকল স্বৈরশাসকের হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে হবিগঞ্জের জননন্দিত মেয়র জি.কে গউছের নাম চার্জশীট থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানান। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন, এম.এ মন্নাফ, এম ইসলাম তরফদার তুন, এড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ আইয়ুব আলী, হাজী এনামুল হক, আব্বাস উদ্দিন, মখলিছ উর রহমান তালুকদার, এড. এস.এম বজলুর রহমান, আজিজুর রহমান কাজল, মাহবুবুর রহমান আওয়াল, মুজিবুর রহমান সেফু, আব্দুল ওয়াদুদ তালুকার ওয়াদুদ, এড. মুদ্দত আহমেদ, সৈয়দ রিয়াজ উদ্দিন, এড. এস.এম আলী আজগর, নুরুল আনাম খান টিপু, এড. ফাতেমা ইসলামিন, মোঃ ফারুক, ফরহাদ হোসেন বকুল, গীরেন্ড চন্দ্র রায়, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, জালাল আহমেদ, শাহ আলম চৌধুরী মিন্টু, মফিজুর রহমান বাচ্চু, আবুল কালাম আজদ, সৈয়দ লাভলী সুলতানা, আলহাজ্ব আব্দুল কাদের চৌধুরী সোহেল, মোঃ আলাউদ্দিন, জাহেদুল আলম চৌধুরী জাক্কু, মোঃ সাহাব উদ্দিন, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর আব্দুল আউয়াল মজনু, নুরুল ইসলাম নানু, শাহ মশিউর রহমান কামাল, নাজমুল হোসেন, তাজুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ হিল কাফি, সাইদুর রহমান কুটি, সাইফুল ইসলাম, মহসিন সিকদার, সালাউদ্দিন টিটু, এমদাদুল হক ইমরান, রুবেল আহমেদ চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম বাবুল, সোহেল এ. চৌধুরী, আব্দুল হামিদ, রতন আনসারী, জয়নাল আবেদীন কুতুব উদ্দিন, শামীম, সৈয়দ নিয়াজ উদ্দিন হারুন, শেখ মখলিছ, শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, লিটন আহমেদ, হারিছ চৌধুরী, মহিবুর রহমান শাওন প্রমুখ।


     এই বিভাগের আরো খবর