,

বাহুবলে লম্পটের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ গর্ভবতী মহিলাসহ আহত ১৫

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে অসামাজিক কাজের শালিস বিচারে লম্পটের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে গর্ভবতী মহিলাসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় সেলিমকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায়, বিগত কিছু দিন পুর্বে লস্করপুর মুচিবাড়ির গণধর্ষনের ঘটনায় আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সহযোগী অভিযোক্ত অপর আসামী পলাতক কাছুম আলী এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিগত বুধবার গভীর রাতে মির্জাটুলা গ্রামের জব্বর মিয়ার যুবতি কন্যা বাথরুমে যাওয়ার জন্য বাহির হলে লম্পট কাছুম আলী তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় যুবতির শোর চিৎকারে তাৎক্ষনিক এলাকার লোকজন তাকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। পরদিন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মাসুদ রানা শালিস বিচারের চেষ্টা করেন তখন সেলিম লম্পট কাছুমের বিরুদ্ধে সাক্ষী প্রদান করে। এরই জেরধরে বসত ঘরে প্রবেশ করে ভাংচুর লুটপাঠ করে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে কাছুম বাহিনীর লোকজন। এতে গর্ভবতী মহিলাসহ আহত ১০ জন হয়েছে। আহতরা হলেন, ফদ্রখলা গ্রামের মৃত: জলিল মিয়ার পুত্র সেলিম (৩০), সানারা খাতুন (৫০), সাহেদা (৪০) সাবানা (২০), বিলাল (৫০), মিজান (৪৫), তোপা (২৪), আশ্বিক (২৬), ছিদ্দিক মিয়া(৬০)। তাৎক্ষনিক আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র কাছুম কাউছার পরেশ গংরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু সেলিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৫ টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকাল ৮ টায় মির্জাটুলা গ্রামে খবর পেয়ে বাহুবল থানার এস আই দেলোয়ারের নেতর্র্েৃত্বে একদল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। অপর একটি সুত্র জানা যায়, শিমুল তলার রমিজ মিয়ার গুরু চুরির অপরাধে চুনারুঘাট থানার এস আই হরিদাস তাকে কিছুদিন পূর্বে গ্রেফতার করেন। দীর্ঘ ৪ মাস জেলে থাকার পর বের হয়ে এসে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার বিরুদ্ধে চুনারুঘাটসহ জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর