,

ইনাতগঞ্জে একই জায়গায় এতিমখানা ও মাদ্রাসা প্রতিষ্টা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা

ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিন পাঠান হাটি জামে মসজিদ সংলগ্ন সরকারী জায়গায় এতিমখানা ও মাদ্রাসা প্রতিষ্টা নিয়ে মসজিদের দাতা পরিবারের সদস্যদের সাথে মসজিদের বর্তমান সেক্রেটারীর দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় ওই জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের লোকজন আদালতে মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। এলাকাবাসী ও উভয় পক্ষের মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর দক্ষিন পাঠান হাটির মোহাম্মদ রশিদ হোসেনের পুত্র কন্যারা দক্ষিন পাঠান হাটি জামে মসজিদ নির্মানের জন্য কতেক ভূমি ও নগদ টাকা প্রদান করেন। সে হিসেবে মসজিদের দাতা পরিবারের সদস্যরা মসজিদের মোতাওয়াল্লী পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে দাতা পরিবারের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র আবুল খায়ের মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আর সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র মোঃ আবুল খায়ের। মসজিদটি ২০০৬ইং সালে প্রতিষ্টিত হয়। মসজিদের পার্শবর্তী মোস্তফাপুর মৌজার ৩৬৬ নং দাগে গোপাট শ্রেণীর সরকারী ১নং খাস খতিয়ানের মোট ৩৬ শতক জায়গার মধ্যে সমস্ত জায়গা বিভিন্ন মানুষ দখল করে আছেন। মসজিদের ঠিক পার্শ¦বর্তী ৩৬ শতক জায়গার মধ্যে ৬ শতক জায়গা একই গ্রামের মৃত সামছুল হোসেনের পুত্র মারাজুল হোসেন দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে দখলে ছিলেন। এবং তিনি এক সনা খাজনা দিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে লীজ নেন। পরবর্তীতে মসজিদের দাতা পরিবারের সদস্যরা উল্লেখিত ৬ শতক জায়গা একটি এতিমখানা নির্মানের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে মারাজুল হোসেন তাতে সম্মতি দিলে মারাজুল মিয়া প্রায় ৮/৯ মাস পূর্বে উক্ত জায়গা মসজিদের দাতা পরিবারের সদস্যদের দখলে সমজিয়ে দেন। সে হিসেবে মসজিদের দাতা পরিবারের সদস্য উল্লেখিত জায়গায় এতিমখানা নির্মানের প্রস্তুতি নেন। অপরদিকে একই জায়গায় বর্তমান মসজিদ কমিঠির সেক্রেটারী মৃত আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র মোঃ আবুল খায়ের মাদ্রাসা নির্মানের জন্য উক্ত জায়গার সামনের দিকে জোরপূর্বক ৪/৫টি পিলার দিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। অথচ মসজিদের প্রায় ১০০/১৫০ হাতের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী মোস্তফাপুর আনোয়ারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা অবস্থিত। এতো বড় মাদ্রাসা থাকার পরও এখানে নতুন করে সামান্য জায়গায় মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করার কোন প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এলাকাবাসী। এখানে একটি এতিমখানা প্রতিষ্টা হলে ভাল হবে বলেও মনে করেন এলাকাবাসী। এদিকে দাতা পরিবারের সদস্য পাঠান মোঃ জামাল হোসেন রিপন উল্লেখিত জায়গায় একটি এতিমখানা প্রতিষ্টার জন্য সেলামীর মাধ্যমে বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রনালয় বরাবরে আবেদন করলে মন্ত্রনালয় থেকে বিষয়টির ব্যাপারে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জকে অনুরোধক্রমে নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক অফিস থেকে বিষয়টি নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। একইভাবে বর্তমান সেক্রেটারী মৃত আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র মোঃ আবুল খায়ের মাদ্রাসা নির্মানের জন্য উক্ত জায়গা লীজের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলে তার আবেদনও নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর