,

ফজর আলীর মত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কারনেই আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি নবীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আলী সড়কের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এম.পি মুনিম চৌধুরী

মতিউর মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ ফজর আলী সড়কের উদ্ধোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্টানিক ভাবে এ সড়কের উদ্ভোধন করা হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াছমিনের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ঈমাম মাওঃ আব্দুল করিম। গীতা পাঠ করেন অঞ্জন পুরকায়স্থ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ আলমগীর চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম, পৌর মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, ওসি মোঃ লিয়াকত আলী, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ডাঃ শাহ আবুল খায়ের, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সদস্য সচিব মাহমুদ চৌধুরী, ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ৮নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী, ফজর আলী ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব শাহ জুলফিকার আলী  ভূট্টু প্রমুখ। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন, কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র রিজভী আহমেদ খালেদ, দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার প্রকাশক মোঃ সেলিম মিয়া তালুকদার, উপজেলা জাপার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ আহমদ, ইউনিয়ন জাপার সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী সাজু, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি মোঃ সরওয়ার শিকদার, উপজেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি এম.এ মতিন চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, যুবনেতা ফতেহ আলম, সাংবাদিক মতিউর রহমান মুন্না প্রমুখ। অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু এম.পি বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে বাংলাদেশীদের কোন সরকারী চাকুরী করার সুযোগ দেওয়া হত না। সেখান থেকে আমরা ফজর আলীর মত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কারনেই আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি। তারা যদি দেশ স্বাধীন না করতেন তাহলে আমরা পাকিস্তানিদের হাতে বন্ধি থাকতাম। তিনি বলেন আমরা যে যেই দলই করিনা কেন একজনের বেলায় আমরা সবাই এক মত, তিনি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন  ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম মায়ের দেশে রুপান্তরিত করা। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এইচ.এম এরশাদ সহ আমরা সবাই শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যাব। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ ফজর আলীর মতো ব্যক্তিরা জীবন বাজি রেখে যোদ্ধ করে এ দেশ কে স্বাধীন করেছিলেন। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানার্থে এই সড়কের নাম  করণ করা হল বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ ফজর আলী সড়ক। তিনি আরও বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে উনার ছেলেরাও দেশ ও মানুষের সেবায় কাজ করে যাবেন বলে আমি আশা রাখি। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ ফজর আলীর পুত্র শাহ জুলফিকার আলী ভূট্টু শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আমার বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল ১৯৭১ইং সালের পর থেকেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু করার, কিন্ত আমার বাবা কিছু করে যেতে পারেন নি। তিনি আমাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিয়েছেন আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে। আমার বাবার মৃত্যুর পরপরই আমার বড় ভাই লন্ডন প্রবাসী শাহ শহীদ আলী আমার বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ ফজর আলী সাহেবের নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। যাতে করে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষেরা তাদের মৌলিক অধিকার গুলো নিশ্চিত করতে পারে, সেই লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ ফজর আলী ফাউন্ডেশনের ব্যানারে আমরা আজীবন কাজ করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এলাকা বাসীর উদ্দেশ্য বলেন, আমার এলাকার মানুষ আমাকে যে সহযোগীতা করেছে সে জন্য আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।


     এই বিভাগের আরো খবর