,

ইমামবাড়ী বাজারে সিএনজি মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধের নিষ্পত্তি ফরহাদ আহমদ এর চিকিৎসা বাবদ ২০ হাজার টাকা ও ইমামবাড়ী বাজার সিএনজি ষ্ট্যান্ড স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত

নুরুল আমিন পাঠান ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে গতকাল সোমবার দুপুরে সিএনজি শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ-১(নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু, সাবেক এম.পি এড.আব্দুল মোছাব্বির চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ আশরাফ আলী, সাবেক উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, বাউসা ইউ/পি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, নবীগঞ্জ সদর ইউ/পির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, কাগাউড়া ইউ/পি’র সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান (বড় মিয়া), কালিয়ারভাঙ্গা ইউ/পি চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ, দেবপাড়া ইউ/পি চেয়ারম্যান এড. জাবেদ আলী, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শাহ আবুল খায়ের, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান সেফু, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ অন্যান্যেদের উপস্থিতিতে দীর্ঘ আলোচনা শেষে সালিশ বৈঠকে গঠিত সালিশী বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু। সিএনজি মালিক ও শ্রমীকদের দু’পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিএনজি মালিক সমিতির পক্ষে কালিয়ারভাঙ্গা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী ও সিএনজি শ্রমিকদের পক্ষে সন্দলপুর বি.সি উচ্চ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হুমায়ূন কবীর। সিএনজি মালিক সমিতির নেতা ফরহাদ আহমদ এর চিকিৎসা বাবদ শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেয়ার রায় ঘোষনা সহ সিএনজি ষ্টেন্ড স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সাবেক এম.পি এড. আব্দুল মোছাব্বির চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ লিয়াকত আলী, ইউ/পি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান (বড় মিয়া) ও এমদাদুল হক চৌধুরীর সমন্বয়ে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন ষ্টেন্ডের জায়গা নির্ধারন করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। উল্লেখ্য, সিএনজি মালিক সমিতির নেতা কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের ফরহাদ আহমদ ও লহরজপুর গ্রামের শ্রমিকনেতা নুরুল আমিন গংদের সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে কালিয়ারভাঙ্গা, ডেবরা, ফাতাইরা, পুরানগাঁও, চরগাঁও এবং অপরদিকে লহরজপুর, শ্রীমতপুর, সন্দলপুর, তাজপুর, হরিপুর, উজিরপুর গ্রামের লোকজনদের মধ্যে ইমামবাড়ী বাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ লিয়াকত আলী সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে সালিশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উল্লেখিত বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে টানা ৪ ঘন্টার বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়। উক্ত সালিশ বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সুলতান মাহমুদ, এড. লুৎফুর রহমান, উপজেলা জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমদ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শহস্রাধিক জনতার উপস্থিতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় ইমামবাড়ী বাজার এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে সস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে।


     এই বিভাগের আরো খবর