,

সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে কালনী ও উদয়ন রেলে বগী কমানোতে যাত্রীদের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে কালনী ও উদয়ন বগি কমানোর ফলে শায়েস্তাগঞ্জ সহ হবিগঞ্জ বাসীর দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী ট্রেন গুলোতে (৩য় পৃষ্ঠায় দেখুন) নিম্ন মানের সেবা ও দুটি আন্তনগর ট্রেন কালনী ও উদয়ন থেকে গত কয়েক মাসে মোট ১০টি বগি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর থেকে সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন কালনীর আরও একটি বগি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে এই ট্রেনের বগির সংখা ৪ টিতে দাঁড়িয়েছে। হবিগঞ্জবাসী তথা সিলেট বিভাগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে ১৩ টি বগি নিয়ে ঢাকা-সিলেট কালনী এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে। কয়েক মাস পূর্বে কালনীর ৯ টি বগি কমিয়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত (রিজারভেশন) বগি ও কেটে নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, এমনিতেই এই দুই রেল পথের ট্রেনে হবিগঞ্জ জেলার যাত্রীরা চাহিদা মতো শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনে এসে টিকেট পান না। অনেকেই মনে করেন স্টেশন মাষ্টার সহ কর্মচারীদের উপর বিরক্তি বোধ করেন। এতে অনেকেই বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকেট (ষ্ট্যান্ডিং টিকেট) কেটে চলাচল করেন। তার পরও এ দুই পথের ট্রেন গুলোর ভালো বগি অন্য পথে নিয়ে ভাঙ্গাচোরা বগি দেওয়া হচ্ছে। এসব বগির বেশিরভাগ চেয়ারের হাতল ভাঙ্গা, জানালার কাচ নেই, শৌচাগারে পানি থাকে না। এরপর আরও বগি সরিয়ে নেওয়া হলে এ রুটে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে। উদয়ন ট্রেনের যাত্রী চুনারুঘাটের মুড়ারবন্দ দরবার শরীফের মোতাওয়াল্লী গদ্দীনিশিন পীরজাদা সৈয়দ সফিক আহমেদ চিশতী সফি বলেন, ট্রেনে চলার মতো কোন অবস্থা নেই। দাঁড়ানো যাত্রী অসংখ্য, ভীর, ময়লা-আবর্জনা আর হইচই লেগেই থাকে। এ দিকে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের ষ্টেশন মাষ্টার মোঃ জাহাঙ্গির আলম ও কম্পিউটার অপারেটর মোঃ কাউছার আহমেদ মিজি এ প্রতিনিধিকে জানান, ১০ ডিসেম্বর থেকে সিলেট-ঢাকা রেল পথের কালনী এক্সপ্রেসের আরও একটি বগি কমানো হয়েছে। নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কী হবে বলা যাচ্ছেনা। এ ছাড়া সিলেট-চট্টগ্রাম উদয়ন এক্সপ্রেসের রিজারভেশন বগিটি ও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বগি কমানোর ফলে শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, মাইজগাঁও, সিলেট সহ ষ্টেশনে একই রকম আসন সংকট হবে। সরকার বিরোধী হরতাল-অবরোধের সময় ট্রেনে অগ্নি সংযোগের কারণে এই সংকট প্রকট হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর