,

জাহিদা ও মাহফুজকে গ্রেফতারের দাবী মৃতের পরিবারের নবীগঞ্জে জ্যোৎস্না হত্যার দায়ে ৫ জনকে আসামী করে মামলা

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধ্যা গ্রামে যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেন্টিলেটারের সাথে ঝুলন্ত জ্যোৎস্না বেগম মৃত্যুর ঘটনার মামলা নিয়ে গতকাল রবিবার দিনব্যাপী নাঠকীয়তা চলেছে নবীগঞ্জে। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লিয়াকত আলী বলেছেন জ্যোৎস্না বেগমের বড় ভাই রজব আলী বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের করেছেন। তবে মৃতের পরিবার বলেছেন, তারা গতকাল রবিবার নবীগঞ্জ থানায় গেলেও কোন মামলা দায়ের করেননি। তারা আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য এসেছিলেন। তারা হবিগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান। এদিকে উক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনার মামলা নিয়ে লুকোচুরির ঘটনায় রহস্যের দানা বাঁধছে। মৃতের পরিবারের জোরালো দাবী নবীগঞ্জের জাহিদা এবং কথিত মাহফুজকে গ্রেফতার করলেই জ্যোৎস্নার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। জানা যায়, হবিগঞ্জের সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল এলাকার বাসিন্দা মৃত জ্যোৎস্না বেগমের বড় ভাই রজব আলী, ছোট ভাই জামাল মিয়া গতকাল রবিবার সকালে ওই এলাকার সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার সামছুর নাহারকে সাথে নিয়ে চাঞ্চল্যকর জ্যোৎস্না বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য নবীগঞ্জ থানায় আসেন। দীর্ঘ প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপী থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে কথা বলে এস.আই আশিকুল ইসলামকে নিয়ে ঘটনাস্থল পৌর এলাকার গন্ধ্যা গ্রামে কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের বাড়ি পরিদর্শন শেষে বিকালের দিকে হবিগঞ্জে চলে যান। মৃতের পরিবার থানায় আসার কারণ জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ মোঃ লিয়াকত আলী জানান, জ্যোৎস্না বেগমের বড় ভাই রজব আলী ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনি নিজেই বলে এ প্রতিনিধিকে জানান। এ ব্যাপারে মৃতের ভাই রজব আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মামলা দায়েরের জন্য থানায় যাইনি। আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে যাই। উক্ত ঘটনার বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার কথাও জানান রজব আলী। একই বক্তব্য দেন ওই এলাকার সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার সামছুর নাহার। তিনি বলেন, মৃত জ্যোৎস্না বেগম লেখাপড়া জানতো না। ২০০৮ সালে রাজিউড়া ইউনিয়নে রিওফা প্রকল্পে চাকুরী করার সুবাধে ব্যাংকে একাউন্ট খোলার সময় তিনি নিজে জ্যোৎস্নাকে দস্তখত শিখিয়েছেন। জ্যোৎস্নার শরীরে পাওয়া চিরকোট নিয়ে বলেন, ওই লেখা জ্যোৎস্নার হাতের হতে পারে না। তা তদন্তে প্রমানিত হবে। এদিকে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লিয়াকত আলী জানিয়েছেন ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মৃতের ভাই রজব আলী জানিয়েছেন মামলা দেননি। মামলা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য নিয়ে নানা রহস্য ঘনিভুত হচ্ছে। মৃত জ্যোৎস্নার পরিবার থানায় মামলা দিয়ে অস্বীকার বা লুকোচুরি করার ঘটনাটিও রহস্য জনক বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের স্বার্থে আসামীদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে একটি গোপন সূত্রে জানাগেছে, উক্ত মামলায় কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, নবীগঞ্জের জাহিদা বেগম, কথিত গাজীপুর আনসার ট্রেনিংয়ে কর্মরত মাহফুজ এবং কাউন্সিলর মিজানের গাড়ীর ড্রাইভারের নাম রয়েছে। এ ব্যপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর