,

নবীগঞ্জে এক ইমামের কান্ড! ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ-কবজ দিয়ে মানুষের সর্বনাশ ॥

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ সৈয়দ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ-কবজ দিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বর্বশান্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তিনি উক্ত মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগদানের পর থেকেই এলাকায় কোন্দল, উপকোন্দল সৃষ্টি করে তার অবৈধ তাবিজ-কবজের ব্যবসা দিব্যি চালিয়ে আসছেন। এতে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। আর সাধারণ মানুষ হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্থ। এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, সিলেটের কুলাউড়া উপজেলার মাওঃ সৈয়দ নজরুল (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) ইসলাম প্রায় ৫ মাস পুর্বে নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর ইউনিয়নের বাগাউড়া প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন পুরাতন জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগদান করেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই উক্ত ইমাম মানুষের শরীরে নানা রোগ ব্যধির চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা শুরু করেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মানুষদেরকে ভুত-প্রেতের আচর করেছে ইত্যাদি অজুহাত দেখিয়ে তাবিজ কবজ দিয়ে প্রতারনা করে আসছেন। বিনিময়ে হাজার হাজার টাকা খুইয়ে স্বর্বশান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চিকিৎসার নামে এ সব অপচিকিৎসার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা। এছাড়াও উক্ত ইমাম সৈয়দ নজরুল ইসলাম অবাধ্যকে বাধ্য করা, অমিলকে মিল করার নামে নানা যাদু ঠোনার কথা বলেও অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ফলে এ সব কোপুড়ি চিকিৎসার কারণে নানা ভোগান্তিসহ হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকেই। ওই সব অপচিকিৎসার কারণে কারো শরীরে নানা সমস্যা সৃষ্টি হলেও ওই ইমাম তাদেরকে চিকিৎসা বা ঝাড়ফুকঁ দিতে অনীহা প্রকাশ করেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ। ইমাম নজরুল ইসলামের অপচিকিৎসার শিকার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্য সমেত গ্রামের তাফাজ্জূল চৌধুরী জানান, সে তাবিজ-কবজের কোপুড়ি করে আমার সর্বনাশ করেছে। সে নানা ফন্দি এঠে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অপচিকিৎসার নামে হাজার হাজার টাকা খামাই করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও উক্ত ইমামের অপকান্ডের কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি উক্ত মসজিদে যোগদানের পর থেকেই নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকায় কোন্দল ও গ্র“পিং সৃষ্টি করেছেন। ফলে অনেক মানুষ ওই মসজিদে নামাজ না পড়ে গ্রামের অন্যান্য মসজিদে নামাজ পড়ছেন। এলাকার শান্তির স্বার্থে তাকে অপসারন করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন উক্ত মেম্বার।


     এই বিভাগের আরো খবর