,

এখনোও আত্মবিশ্বাসী সোহাগ গাজী ॥

সময় ডেস্ক: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বিশ্বকাপগামী দলের একজন সদস্য হতেন সোহাগ গাজী। কিন্তু দুর্ভাগ্য গাজীর। বোলিং অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ আছেন তিনি। ফলে তার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় অনেক আগেই। এদিকে বিশ্বকাপগামী দল যেদিন অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরবে সেদিন ভারতের চেন্নাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিবেন তিনি। গতকালবার দুপুর একটার বিমান ধরছেন ডানহাতি এই অফস্পিনার। চেন্নাইয়ে শ্রীরামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে বাংলাদেশের এই স্পিনারের পরীক্ষা হবে। রাত-দিন পরিশ্রম করে বোলিং অ্যাকশন শুধরেছেন সোহাগ গাজী এমনটিই জানিয়েছেন এই অফস্পিনার। বোলিংয়ে বৈচির্ত্য আনার পাশাপাশি জোর কমিয়ে দিয়েছেন বরিশাল থেকে আসা এই তারকা ক্রিকেটার। শিগগিরই বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সোহাগ গাজী। বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় গত ২৪ আগস্ট গাজীর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আপত্তি তোলে আইসিসি। এরপর ২১ দিনের মধ্যে তাকে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিতে বলে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের কার্ডিফ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ল্যাবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন গাজী। সেখানে তিনি ছয় ওভার বল করেন। আর সেই বোলিং বিশ্লেষণ করে গত ৮ অক্টোবর আইসিসি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে নিষিদ্ধ করে। আইসিসির নিয়মানুযায়ী ১৫ ডিগ্রির মধ্যে বাহু সম্প্রসারণ বা সংকোচন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে বোলারদের। কিন্তু গাজীর সব ধরনের ডেলিভারি ১৫ ডিগ্রির ওপরে, যা কার্ডিফের পরীক্ষায় ধরা পড়ে। কিছু ডেলিভারি ৩০ ডিগ্রির ওপরে ছিল বলেও বিসিবিকে জানায় আইসিসি। আইসিসির বোলিং অ্যাকশন রিভিউয়ের নীতি অনুযায়ী, বোলিং অ্যাকশনের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় অ্যাকশন ক্রুটিপূর্ণ হলে আগামী এক বছর বোলিং করতে পারবেন না সোহাগ গাজী। এমনকি এ সময়ে কোন পরীক্ষাও দিতে পারবেন না। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সোহাগ গাজী। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে, ‘আমার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, আগের বোলিং অ্যাকশন ও নতুন বোলিং অ্যাকশনের ভিডিও রিভিউ করেছি। সেগুলো দেখে আমি নিজেই আত্মবিশ্বাসী। স্পিন বোলিং কোচ রুয়ান কালপাগের সঙ্গে কাজ করেছি। আশা করছি সবকিছু আমার পক্ষেই আসবে।


     এই বিভাগের আরো খবর