,

মালয়েশিয়ায় কোকোর জানাজায় শোকাহত মানুষের স্রোত ॥

মরদেহ ঢাকায় আসছে আজ..৩ দিনের শোক পালন করবে বিএনপি..
সময় ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম নামাযে জানাযায় শোকাহত মানুষের ঢল নামে। কুয়ালালামপুরের সবচেয়ে বড় মসজিদ এবং মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ নিগারায় জহুর। জহুরের নামাযের পর এখানে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজা হওয়ার অনুষ্ঠিত হবে জানতে পেরে অন্তত ৪২টি বাসে করে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রবাসি বাংলাদেশিরা এসে হাজির হন। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই সেখানে ভীড় করতে থাকেন। হিমঘর থেকে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদ প্রাঙ্গণে আনা হয় আরাফাত রহমান কোকোর কফিন। আগে থেকেই মসজিদে ছিলেন কোকোর পরিবারের সদস্যরা। মসজিদ প্রাঙ্গণে কোকোর মরাদেহ আনা হলে আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। সে সময় তাদের সান্তনা দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী। জানাজায় যোগদেন কোকোর মরদেহ নিয়ে যেতে মালয়েশিয়ায় আসা বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। এছাড়া বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আজগর লবিও উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় ইমামতি করেন মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদের প্রধান ইমাম। মালয়েশিয়া বিএনপি জানিয়েছে কোকোর মরদেহ দেশের নেওয়ার জন্য সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করছেন তারা। মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। শনিবার অফিসিয়াল কাজ বন্ধ। আমরা সব কিছু সম্পন্ন করে সোমবার (আজ) রাতে অথবা মঙ্গলবার সকালে লাশ ঢাকায় পাঠাব। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও জানাজায় অংশ নেন। যোগদেন মালয়েশিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয় সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা প্রবাসিরা ছাড়াও পাশের দেশ সিঙ্গাপুর থেকে আসেন অনেক বাংলাদেশি। জানাজা শেষে আবারও ইউনির্ভাসিটি অব মালায়ার হিমঘরে রাখা হয়েছে কোকোর মরদেহ। অপরদিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়ারউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র কোকোর মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।


     এই বিভাগের আরো খবর