,

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মামলা দায়ের ॥

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র পরিচালক নির্বাচনে কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এবং ঘোষিত ফলাফল বাতিলসহ পুনঃনির্বাচনের দাবীতে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থী। গত ১৫ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত পরিচালক নির্বাচনে বর্জনকারী ছাতা প্রতীকের প্রার্থী সাপ্তাহিক হবিগঞ্জের খবর সম্পাদক শাহ্ মোঃ হুমায়ূন কবীর গত ১৭ ফেব্র“য়ারি নির্বাচনে গঠিত নির্বাচন কমিশনের সদস্যের নিকট অভিযোগটি দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, ১৮ ফেব্র“য়ারি বর্জনকারী প্রার্থীর আইনজীবি জিতেন্দ্র চন্দ্র দেব রির্টানিং অফিসার কাজী সারওয়ার ইকবাল ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঢাকার উপ পরিচালক (অর্থ) কে নোটিশ গ্রহনের ৩ দিনের মধ্যে লিখিত অভিযোগটির জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্র“য়ারি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র পরিচালক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছাতা প্রতীক প্রার্থী সাংবাদিক শাহ মোঃ হুমায়ূন কবীর, বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক প্রার্থী, নওরোজুল ইসলাম চৌধুরী ও চেয়ার প্রতীক প্রার্থী আমিনুর রহমান সোহেল। ওইদিন ছাতা প্রতীকের প্রার্থী শাহ মোঃ হুমায়ূন কবীর নির্বাচনে যাতে বিজয়ী না হতে পারেন সেজন্য অন্যান্য প্রার্থীসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিভিন্ন রকম কারচুপির আশ্রয় নেন। এর প্রেক্ষিতে ছাতা প্রতীকের প্রার্থী ওইদিন বেলা ১টার দিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে তার সমর্থক, কর্মী, এজেন্টদের নিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল সহকারে জনসম্মুখে কেন্দ্র ত্যাগ করেন। পরদিন ছাতা প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকরা হবিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন নির্বাচনে বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক ৩৪৫ ভোট, চেয়ার প্রতীক ৩০৭ ভোট ও ছাতা প্রতীক ৯৩ ভোট পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা এবং শায়েস্তাগঞ্জ, নূরপুর, নিজামপুর, রাজিউড়া ও গোপায়া ইউনিয়ন নিয়ে ৩নং এলাকার পরিচালক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৯১ জন। কিন্তু ভোট দেন মাত্র ৭২৭ জন গ্রাহক। এর মধ্যে আবার ২টি ভোট বাতিল হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, যে কোন নির্বাচনে মোট ভোটারের অর্ধেকেরও অধিক ভোট কাষ্টিং না হলে তাকে নির্বাচন বলে গণ্য করা হয়না। কিন্তু পল্লী বিদ্যুত সমিতির ওইদিনের নির্বাচনে মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কাষ্ট হয়েছে। যা নির্বাচনী তপসীল পরিপন্থি। উল্লেখ্য নির্বাচনী তপসীল অনুসারে আগামী ২৬ শে ফেব্র“য়ারি রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির বার্ষিক সদস্য সভায় আনুষ্টানিক ফল ঘোষনার কথা থাকলেও বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক প্রার্থী নওরোজুল ইসলাম চৌধুরী ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশসহ কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।


     এই বিভাগের আরো খবর