,

‘মৃত্যু’ নিয়ে বিচিত্র যত ব্যবসা-বাণিজ্য

সময় ডেস্ক ॥ জন্ম হলে মরতে হবেই আর এটাই চিরন্তন সত্য। এখন যদি এই জন্ম-মৃত্যু নিয়ে হয় বাণিজ্য তাহলে আর কি রইল! জীবনের অন্য সব পর্যায়ের সাথে যেমন জড়িত অনেক ব্যবসা, তেমনি মৃত্যুকে ঘিরেও কিন্তু ব্যবসা গড়ে ওঠাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মানুষের মৃত্যুর পর তার শেষকৃত্য বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া। মৃত মানুষটির পরিবার-পরিজনের জন্য এই প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং মাঝে মাঝে আরেকটু বৈচিত্র্যময় করে তোলার ব্যাপারটাই করে থাকেন এমন অনেক ব্যবসায়ী। জীবনের শেষ যাত্রা নিয়ে এমনই কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবসার কাহিনী জেনে নিন আজ। মার্ডার সিন মেইড মানুষের মৃত্যু যে সব সময়ে হাসপাতালে বা নিজের বাড়িতে, শান্তিপূর্ণ অবস্থায় হবে এমনটা তো আর আশা করা যায় না। অনেক সময়ে একজন মানুষের মৃত্যু ঘটে অনেক ভয়ংকর পরিস্থিতিতে। তার মৃত্যুর স্থান তার সাক্ষী বহন করে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, খুন, আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনার মাধ্যমে মৃত্যু হলে সে স্থানের পরিস্থিতি এমন হয় যে আত্মীয়দের পক্ষে সেখানে গেলে মানসিক অবস্থা প্রচন্ড খারাপ হয়ে যায়। এখানেই ব্যবসা হলো ব্যাক্সটার রেস্টোরেশনের। তারা সে স্থান ধুয়ে-মুছে দেবে এবং মৃত্যুর দৃশ্যকে করে তুলবে আগের চাইতে সহনীয়। ১০৫৭পরকালের অ্যাপ, উলফগ্যাং গ্যাব্লার এর তৈরি হলো এই অ্যাপ। এর মাধ্যমে আপনি নিজের জীবদ্দশায় তৈরি করে যেতে পারবেন ছোট একটি ভিডিও যা আপনার মৃত্যুর পর দেখতে পারবে আপনার প্রিয়জন। পাচ মিনিটের এই ভিডিও আপলোড করা থাকে এই কোম্পানির সার্ভারে। ইচ্ছে করলে এই ভিডিও আপনি সারা পৃথিবীর মানুষের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে রাখতেও পারেন। টকিং টুম্বস্টোন, একটা অ্যাপ থেকে মৃত মানুষের কথা শোনা এক কথা। কিন্তু তার সেই কথা যদি শোনা যায় তার সমাধিপ্রস্তর থেকে, তবে ব্যাপারটা অদ্ভুত নিশ্চয়ই। ক্যালিফোর্নিয়ার রবার্ট ব্যারোস এর মাথা থেকে বের হওয়া এই আইডিয়া নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। এই সমাধিপ্রস্তরে রয়েছে একটি রিমোট কন্ট্রোল্ড ভিডিও স্ক্রিন। মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা ভিডিও সেখানে প্রদর্শিত হয়। নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বিনিময়ে সেই সমাধিক্ষেত্রে আসা মানুষেরা এই ভিডিও দেখতে পারবেন। জলজ পরকাল, অনেকের ইচ্ছে থাকতে পারে মৃত্যুর পর তাদের দেহাবশেষের ছাই পানিতে ছিটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তা না করে যদি আপনার দেহকে বাস্তুসংস্থানের মাঝে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। জলজ প্রাণীদের খাদ্যচক্রে মিলিয়ে দেওয়া হয়। তবে আপনার ইচ্ছেও পূরণ হলো, পৃথিবীরও উপকার হলো, তাই না? ইটারনাল রিফস নামের এই কোম্পানিটি মানুষের শরীর থেকে তৈরি করে কিছু কৃত্রিম প্রবালপ্রাচীর সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রাচীরে একটা তামার ফলকে লেখা থাকে মৃত ব্যক্তিটির নাম।, তাই এটাও অনেকটা সমাধিস্তম্ভের মতোই কাজ করে। জীবদ্দশায় মহাশুন্যে যাবার শখ পূরণ না হলেও, মৃত্যুর পর সেই শখ পূরণ করতে পারেন বই কি। সেলসটিয়া নামের এক কোম্পানি আছে যাদের বিশেষত্ব হলো মেমোরিয়াল স্পেসফ্লাইট সার্ভিস”। সাড়ে বারো হাজার ডলারের বিনিময়ে একজন মানুষের দেহাবশেষ তারা ছরিয়ে দেয় মহাশূন্যের গভীর আঁধারে। অথবা ইচ্ছে করলে এই দেহাবশেষ চাঁদে নিয়ে ফেলারও ব্যবস্থা রয়েছে। যাদের এই সামর্থ্য নেই, তারা ৯৯৫ ডলারের বিনিময়ে কিছুক্ষনের জন্য দেহাবশেষ পাঠাতে পারবেন মহাশূন্যে। কয়েক মিনিট শুন্যে ভেসে থাকার পর আবার তা ফিরে আসবে পৃথিবীতে।


     এই বিভাগের আরো খবর