,

বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে মহাসড়কে ১ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল নবীগঞ্জে কালবৈশাখীর ছোবলে বৈদ্যুতিক টাওয়ার বিধস্ত ২৫ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে ॥ আহত-১০জন

এম.এ আহমদ আজাদ ॥ নবীগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি টাওয়ার বিধ্বস্ত হওয়ায় নবীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন। রাত প্রায় ৮টায় ঝড়ের কবলে পড়ে বিভিন্ন স্থানে ১০ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছেন। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পড়ে ১ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। গত শনিবার নবীগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। সন্ধ্যারাতে দেড় ঘন্টাব্যাপী চলা ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িঘর, গাছপালা, কাঁচা ঘরবাড়ি, ঘরের চালা, বিদ্যুতের খুঁটিসহ বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়নগুলো হলো- দেবপাড়া, আউশকান্দি, কুর্শি, বড়ভাকৈর পূর্ব, বড়ভাকৈর পশ্চিম, নবীগঞ্জ সদর, পানিউমদা, গজনাইপুর, বাউশা, কুর্শি, দীঘলবাক, ইনাতগঞ্জ এলকা। এসব ইউনিয়নে প্রতিটি গ্রামেই ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ায় গোটা উপজেলার সবক’টি গ্রাম ভুতুড়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত। এছাড়া কোন কোন ইউনিয়নে মাঝারি ধরনের শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। নবীগঞ্জে গতরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের পর গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কিছু কাঁচা ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। অনেকের বাড়ি বা দোকানের টিনের চালা উড়ে গেছে। এতে দরিদ্র লোকজন পড়েছেন চরম বিপাকে। এছাড়া নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। নবীগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি টাওয়ার বিধ্বস্ত হওয়ায় নবীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন। রাত প্রায় ৮টায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন- টমটম চালক সাজু মিয়া, আহাদ মিয়া এবং জব্বার মিয়াসহ আরো অনেক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহাদ মিয়া জানান, হঠাৎ প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় তাদের বহনকারী টমটমটি উড়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়লে তারা আহত হন। নবীগঞ্জ আউশকান্দি বাজার এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর পড়লে এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এছাড়া বাজারে অনেক দোকান পাট লন্ডভন্ড করে দেয় কাল বৈশাখী ঝড়। রাত থেকেই সারাদিন নবীগঞ্জ উপজেলা বিদ্যুত বিহীন ছিল। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য দোকানের সাইনবোর্ড ও রাস্তায় স্থাপন করা তোরণ ভেঙ্গে পড়েছে। গত শনিবার কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার ৩৩ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার বিধস্ত হয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঝড়ে টাওয়ারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের চেষ্টা করা হলেও সে লাইনটি কাজ করছে না। তিনি আরো জানান, জেলার চারটি উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করতে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ভোর থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তবে কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।


     এই বিভাগের আরো খবর