,

নারী পুরুষের পাঁচ ফারাক

সময় ডেস্ক ॥ একজন নারী ও পুরুষ কোনো বিষয় নিয়ে তর্ক করলে বিজ্ঞানের ভাষায় এর মধ্যেও জটিল সমীকরণ থাকে। তাহলে ইন্দ্রিয় অনুভূতির ক্ষেত্রে কে আগে, নারী না পুরুষ? সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোয় উঠে এসেছে পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের মধ্যে কিছু জায়গায় পুরুষ এগিয়ে আবার অনেক ক্ষেত্রে নারী এগিয়ে। ইন্দ্রিয়ানুভূতিতে নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। বেশিরভাগ গবেষণার মতে এখানে মূল পার্থক্য জিনগত। আসুন জেনে নেয়া যাক ইন্দ্রিয়ানুভূতিতে নারী ও পুরুষের মধ্যকার পার্থক্য: দৃষ্টি: নারীরা যেকোনো রঙ্গের সূক্ষ পার্থক্য সহজে বুঝতে পারে। সেদিক থেকে পুরুষরা একটু বর্ণান্ধ। ২০১২ সালে সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, জিনগত পার্থক্যর জন্য নারী ও পুরুষের দৃষ্টিশক্তির হেরফের হয়ে থাকে। তবে পুরুষদের হতাশ হবার কিছু নেই। কারণ, তারা সহজেই যেকোনো ছোটখাটো মুহূর্ত মনে রাখতে পারে এবং চোখের সামনে হঠাৎ দৃশ্যের পরিবর্তন ধরে ফেলতে পারে। গবেষকদের মতে, পুরুষদের দৃষ্টিশক্তির এ ক্ষমতা এসেছে আদিকালে তাদের শিকারী অভিজ্ঞতার জন্য। স্পর্শ: যেসকল নারীদের হাতের আঙ্গুল ছোট তাদের অনুভূতি অন্যান্যদের তুলনায় বেশি। ২০০৯ সালে জার্নাল নিউরোসায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণা মতে, ছোট আঙ্গুল তুলনামূলক বেশি সংবেদনশীল। মজার ব্যাপার হলো, যেসকল পুরুষদের আঙ্গুল নারীদের তুলনায় ছোট তারা আরো বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। শ্রবণ: নারীর তুলনায় পুরুষদের শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় এক-পঞ্চমাংস বেশি। ২০০৮ সালে জন্স হপকিংস বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা মতে, পুরুষদের জীবনযাত্রার মান এবং পরিবেশগত কারণে শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। বিশেষ করে, প্রচন্ড শব্দের মধ্যে কাজ করা, ধূমপান ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপন এর জন্য দায়ী। ঘ্রাণ: ২০১৪ সালের প্লাস জার্নালে প্রকাশিত হয় যে, নারীদের মস্তিষ্কে ৪৩ শতাংশ বেশি সেল এবং ৫০ শতাংশ বেশি নিউরন আছে যেগুলো ঘ্রাণ ইন্দ্রিয়ের কাজ করে। এ অতিরিক্ত সেল তাদের ঘ্রাণশক্তি পুরুষদের তুলনায় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাদ: ঘ্রাণের সঙ্গে স্বাদ সম্পর্কযুক্ত। যেসব নারী স্বাদ নিয়ে কাজ করে তাদের ৪৫ শতাংশ পুরুষদের তুলনায় অনেক সহজে বিভিন্ন রকম স্বাদ আলাদা করে ভাগ করতে পারে। যেখানে এ কাজের জন্য মাত্র ১৫ শতাংশ পুরুষ পারদর্শী। এছাড়া নারীদের সন্তান সম্ভাবনার সময়ে ইন্দ্রিয়সমূহ সবচেয়ে বেশি কাজ করে।


     এই বিভাগের আরো খবর