,

হবিগঞ্জে ৭ গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ॥ পুলিশ ও মহিলাসহ অর্ধ শতাধিক আহত

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের ৭ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। নিজামপুর ইউনিয়নের রতনপুর, ছোট জয়রামপুর, তেলিখাল, নিতাইরচক, কান্দিগাঁও ও দরিয়াপুর গ্রামবাসীদের মধ্যে গতকাল শুক্রবার সকাল ও দুপুরে দুই দফায় প্রায় ৬ ঘন্টা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রাবিয়া খাতুন (৬০), আদম আলী (৩৮), তোরাব আলী (৪৫), আজিজুর রহমান (৩৬), হাবিবুর রহমান (৪৭), আব্দুল মতিন (৪৫), আব্দুল মালিক (৩৫), নানু মিয়া (৪০), রাহেনা বেগম (৪৫), আব্দুল সালাম (২৮), মাসুম মিয়া (১৫), আলফাজ মিয়া (৩০), শাহিন মিয়া (২৫), ময়না মিয়া (৬০), ফানকি মিয়া (৪৮), নুনলি ইসলাম (৪৫), মারুফ মিয়া (৪৫), আলমগীর মিয়া (৩৫), ফারুক মিয়া (৩০) ২৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ময়না মিয়া ও ফারুক মিয়াকে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া, এস.আই ইকবাল বাহার আহত হন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সদর হাসপাতাল থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রতনপুর গ্রামের একটি মসজিদ ও জায়গার দখল নিয়ে ওই গ্রামের জলফু মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের জনাব আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করলেও দুপুর ২টায় ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। জনাব আলীর পক্ষে নিতাইচক জয়রামপুর ও তেলিখাল, কাঠাখালী এবং জলফু মিয়ার পক্ষে কান্দিগাও, নিজামপুর, দারিয়াপুর, ছোট জয়রামপুরের মানুষ লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ও আট রাউন্ড শর্ট গার্নের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকার জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর