,

হবিগঞ্জ শহরের ৩ এলাকাকে পাখির অভয়াশ্রম ঘোষণা

জুয়েল চৌধুরী ॥ ধবধবে সাদা বক। নির্ভয়ে ঝাঁক বেঁধে উড়ে আসছে। আবার যাচ্ছেও। ডালে ডালে বসছে নানা ভঙ্গিমায়। কখনোবা করছে কোলাহল। হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ, এম এ রব স্মৃতি পাঠাগার ও জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের গাছগাছালিতে শত শত বকের অভয়াশ্রমের দৃশ্য এটা। গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের কড়ই গাছে পাখিদের অভয়াশ্রম ॥ দেখার যেন কেউ নেই-এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পাখিদের রক্ষার উদ্দ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বনিক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত ওই তিন এলাকাকে পাখিদের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাখি শিকার একটি দন্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি ওই এলাকার পাখিদের উপর ঢিল ছোড়ে, কিংবা শিকার করে, তবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওই তিন স্থানের গাছগুলোতে শুধু বকই নয়, অন্যান্য পাখিদেরও এ অভয়াশ্রমের অবস্থান। শুভ্র-সাদা পাখা মেলে সকাল-বিকেল উড়াউড়ি আর ডাকাডাকিতে এখানে প্রকৃতি পেয়েছে নতুন মাত্রা। বকের এ অভয়াশ্রমটি ঘিরে আশপাশের এলাকার মানুষের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। এখানে এসে বকের কোলাহল দেখে মুহন যে কেউ। গাছগাছালির সবুজ ডালে ডালে ছোপ ছোপ শুভ্র-সাদা রং দেখে দূর থেকেও বোঝা যায় বক পাখির আশ্রম, অসংখ্য বকের আশ্রমস্থল। শোনা যায় ডাকাডাকি। বক বাসা বেঁধেছে মেহগিনি, কড়ইসহ ২০-২২টি গাছে। বক দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে প্রতিদিন অনেকে আসছেন এখানে। বকসহ বিভিন্ন পাখির অভয়াশ্রমের কথা জেনেছেন এমন অনেকেই তা দেখতে উঁকিঝুঁকি মারেন চলার পথে। গতকাল বিকালবেলা সরজমিনে ওই এলাকা পরিদর্শনকালে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে লোক বিষয়টি তদন্ত করে গেছেন। বকগুলো যাতে কেউ শিকার না করে এবং কেউ তাড়াতে না পেরে তার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বক দেখতে আসা কয়েকজন জানান, বকগুলো সময়মতো আসে আবার চলেও যায়। ফাল্গন-চৈত্র মাসে বেশি সংখ্যায় বেশি আসে। তবে এবার আগে বাগেই এসে গেছে। বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার বক শহরের আর কোথাও দেখা যায় না। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় দেশে অনেক পশুপাখি বিলুপ্তির পথে। বক পাখিগুলো যাতে টিকে থাকতে পারে এ ব্যাপারে সবার যতœবান হওয়া জরুরী।


     এই বিভাগের আরো খবর