,

শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে নবীগঞ্জে ব্যাপক প্রস্তুতি : প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত কারিগররা

রিপন দেব ॥ শরৎ এসেছে। দুলছে কাশফুল। ফুটেছে শেফালী আর পদ্ম। সাড়া পড়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাড়ায় পাড়ায়। আসছেন মা দুর্গা, মেতে ওঠো শারদীয় দুর্গোৎসবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র ৫ দিন বাকি। এখন প্রতিটি পূজামন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ। মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কারিগররা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ১৮ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠাদি বিহীত পূজার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সূচনা করা হবে। বিগত বছর শারদীয় উৎসব ৫ দিনব্যাপী হলেও এ বছর তা বর্ষ পঞ্জিকার তিথি পরিবর্তনের কারণে ৪ দিন হবে। তিথি পরিবর্তনের কারণে একই দিন নবমী ও দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যেই সারা দেশের ন্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার ৮১টি সার্বজনীন ও ২টি ব্যক্তিগত পূজামন্ডপে সাড়ম্বরে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুুতি। প্রতিমা শিল্পীরা দিনরাত ব্যস্ত প্রতিমা নির্মাণে। রাত দিন পরিশ্রম করে শিল্পীরা তৈরি করছেন দুর্গা, লক্ষ্মী, স্বরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর, মহিষ, সিংহের মৃন্ময় মূর্তি। নবীগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রতি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইন শৃংখলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠান করার লক্ষ্যে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন সকল প্রকার প্রস্তুতির আয়োজন রয়েছে বলে সভায় জানানো হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ জানান, এ বছর নবীগঞ্জ উপজেলায় মোট ৮১ টি সার্বজনীন ও ২টি ব্যক্তিগত পূজা মন্ডপ রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দিয়ে পূজা মন্ডপ স্থলে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তবে সম্প্রতি ঢাকায় ও রংপুরে দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে এবার প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাছাড়া প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সরকারীভাবে প্রতিটি পূজা মন্ডপে চাল বরাদ্ধ করা হবে। নবীগঞ্জ উপজেলায় ৮১টি মন্ডপে সার্বজনীন ও প্রায় ২টি ব্যক্তিগত মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর