,

আওয়ামীলীগের প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিমের আপিল খারিজ আইনী লড়াইয়ে জি কে গউছের বিজয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন হবিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিমের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উভয় পক্ষের শোনানী শেষে এই আদেশ দেন জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম। এরপূর্বে গত ৬ ডিসেম্বের যাছাই-বাছাই শেষে বর্তমান মেয়র (সাময়িক বরখাস্ত) আলহাজ্ব জি কে গউছের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সফিউল আলম। ওই সময়ও জি কে গউছের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করতে আবেদন জানান আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে। কিন্তু তার আপত্তির আইনগত কোন ভিত্তি না থাকায় তা আমলে নেননি জেলা রিটার্নিং অফিসার। এতে সন্তোষ্ট না হয়ে এই আদেশের বিরুদ্ধে জি কে গউছের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে ও তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিমের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের নিকট আপিল করা হয়। গতকাল ছিল এই আপিলের শোনানী। শোনানীতে মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিমের পক্ষে অংশ নেন পিপি আকবর হোসেন জিতু। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জি কে গউছের পক্ষে শোনানীতে অংশ নেন সাবেক পিপি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট দেওয়ান মসউদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন ও জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট আব্দুল হাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট খালিকুজ্জামান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক সেলিম ও জি কে গাফফার। পরে সাংবাদিকদের এক পশ্নে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন বলেন- আজকের আদেশের মাধ্যমে আইনী লড়াইয়ে জি কে গউছের আরও একটি বিজয় হয়েছে। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিএনপি নেতা জি কে গউছের মনোনয়ন বাতিল করতে দুইবার আবেদন করেছেন। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার ও সর্বশেষ জেলা প্রশাসক তার আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন- আগামী ৩০ তারিখও হবিগঞ্জ পৌরবাসী জি কে গউছকে নির্বাচিত করবেন। সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিবেন। জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন- জি কে গউছ পৌরবাসীর বিপুল ভোটে টানা দুই বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সকল ধর্ম ও দলমতের উর্ধে উঠে পৌরবাসীর সেবা করেছেন। গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী থেকে প্রায় ডাবল ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়ে অতীতের ধ্যান ধারণা পাল্টে দিয়ে পৌরসভার কার্যক্রমে নতুনত্ব চালু করেন। জি কে গউছ-ই একমাত্র মেয়র, যিনি নির্বাচিত হয়ে পৌর মাঠে গণবিয়ের আয়োজন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা, হজ্ব ও উমরা প্রশিক্ষণ, পৌর এলাকার দরিদ্র পরিবারের শিশুদের সুন্নাতে খৎসা, পৌরসভায় ওয়ানস্টপ সার্ভিস, বই মেলা, পিঠা উৎসব, কর মেলা, কৃতি ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর পৌরবাসীর টেলিফোনে সরাসরি প্রশ্নোত্তর ও জবাবদিহি মুলক অনুষ্ঠান জনগনের মুখোমুখি হয়েছেন। তার এই অনুষ্ঠানটি দেশে-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ফলে তিনি পৌরবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নেন। দলীয় ও ধমীয় মতাদর্শের উর্ধ্বে উঠে এসব কাজ করতে গিয়ে জি কে গউছ সকলের নিকট প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেন। সাধারণ মানুষের আস্তা অর্জন করতে সম হন। তার এই জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্নিত হয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রমুলকভাবে জি কে গউছকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। তাই আগামী ৩০ তারিখ ব্যালটের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রের জবাব দিবে পৌরবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর