,

নবীগঞ্জে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রামীনফোনের সিম রেজিষ্ট্রেশনের নামে চলছে রমরমা বানিজ্য : গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা

রিপন দেব ॥ নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রামীন ফোনের সিম রেজিষ্ট্রেশনে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীনফোনের কিছু অসাধু রিটেইলার গ্রাহকদের কাছ থেকে সিম রেজিষ্ট্রেশন এর নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শুধু তাই নয় নবীগঞ্জ শহরের গ্রামীন ফোনের নির্ধারিত কাষ্টমার সার্ভিস সেন্টারেও গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। রিটেইলারের কাছে সিম রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য গেলে তারা গ্রাহকদের কাছে ২০/৫০ টাকা পর্যন্ত দাবী করে। অনেক গ্রাহককে বাধ্য হয়ে রিটেইলারদের চাহিদামতো টাকা দিয়ে সিম রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। তাদের কাছে একরকম জিম্মি হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। শুধু শহর এলাকাইতেই নয় এসব অসাধু রিটেইলাররা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও গ্রামের সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিষ্ট্রেশন এর কথা বলে অবৈধভাবে টাকা হাতাচ্ছে। সরকার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধনে রিটেইলাররা অর্থ নিলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে লাইসেন্স বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেয়ার পরও এসব তোয়াক্কা না করে তারা তাদের বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের অপু এন্টার প্রাইজ (কাষ্টমার সার্ভিস সেন্টার), বরাক মোবাইল ফোন (কাষ্টমার সার্ভিস সেন্টার), আলী টেলিকম, নাছিম টেলিকম, আব্দাল এন্টার প্রাইজ, একটেল টেলিকম, জাহাঙ্গীর টেলিকম, মাইসা টেলিকম, আই.কে এন্টার প্রাইজ, স্বর্ণা টেলিকম, কেয়া টেলিকম, বৃষ্টি টেলিকম, আল-ফালাহ এন্টার প্রাইজ, পাঞ্জারাই গ্রামের লিটন ভেরাইটিজ ষ্টোর সহ বিভিন্ন রিটেইলারের দোকানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০/৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। এব্যাপারে গ্রামীন ফোনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিষ্ট্রেশনের নামে টাকা আদায়ের অনেক অভিযোগ আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি। সিম রেজিষ্ট্রেশনের জন্য গ্রামীনফোন রিটেইলারদের নির্দিষ্ট কমিশন দিচ্ছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা সম্পূর্ণ বে-আইনী। আমরা খুব শীঘ্রই এসব অসাধু রিটাইলাদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ বিষয়ে রিটেইলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি সিম নিবন্ধন করাতে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগে, যা করাতে গিয়ে তাদের ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়। ব্যবসার ক্ষতি পূষিয়ে নেওয়ার জন্য তারা অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর