,

সুন্দ্রাটিকির ৪ শিশু হত্যাকান্ড : প্রধান আসামী আব্দুল আলী বাগাল ১০ দিনের রিমান্ড শেষে করাগারে

বাহুবলে দুই পঞ্চায়েতের বিরোধকে কেন্দ্র করে চার শিশু হত্যাকান্ডের মূল হোতা আব্দুুল আলী বাগালকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউছার আলমের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, বেলা পৌনে ২টায় বাগালকে আদালতে নেয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে ১৮ ফেব্র“য়ারি তাকে ও তার ছেলে জুয়েল মিয়াকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। জুয়েল মিয়া ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। উক্ত মামলায় এখন র‌্যাবের হাতে আটক সাহেদ আলী রিমান্ডে রয়েছেন। আর কারাগারে রয়েছেন আব্দুল আলীসহ ছয়জন। পুলিশের দাবি, আবদুল আলী এ ঘটনার মূল হোতা। ১০ দিন রিমান্ডে নিলেও তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। তবে তার দুই ছেলে জুয়েল ও রুবেল এবং তার অন্যতম সহযোগী হাবিবুর রহমান আরজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির ওসি মোক্তাদির হোসেন জানান, আব্দুল আলী বাগাল রিমান্ডে ঘটনার সাথে সংশিষ্টতরা কথা স্বীকার করেনি। তবে অন্যান্যদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সেই ঘটনার মূল নায়ক। তার বিরুদ্ধে আরও ৫ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্র“য়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মোঃ ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের পুত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার পুত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের পুত্র ইসমাঈল হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়। ওই দিন বিকেল বেলা তারা উত্তর ভাদেশ্বর গ্রামে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে পরদিন ওয়াহিদ মিয়া বাদী হয়ে বাহুবল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। মঙ্গলবার রাতে বাহুবল মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন নিখোঁজ এক শিশুর পিতা। এই ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম ও র‌্যাব মাঠে নামে ওই শিশুদের অনুসন্ধানে। এর পর পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানদাতাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করা হয়। পরদিন রাতে নিখোঁজ শিশু মনির মিয়ার পিতা আবদাল মিয়া বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এর পরদিন সকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দিন মজুর কাজল মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে বেড় হয়ে করাঙ্গী নদীর পাশে মাটি কাটতে গিয়ে মাটি চাপা অবস্থায় ৪ শিশুর লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ লাশগুলো উত্তোলন করে এবং ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাতেই লাশগুলো দাফন করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর