,

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জড়িয়ে মানবতাবিরোধী অভিযোগেমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে মানবতাবিরোধী অভিযোগের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মারাজ মিয়ার বক্তব্য র প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মারাজ মিয়ার বক্তব্য

গত ১৮/০৪/১৬ইং রোজ মঙ্গলবার দৈনিক আজকের হবিগঞ্জ, দৈনিক সমাচার, দৈনিক বিবিয়ানা”য় “আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে নবীগঞ্জের ২০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল” শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমি মর্মাহত ও বিষ্মিত। অভিযোগে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোতাহির আলীর ভাই আউশকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সঞ্জব আলী ও সাবেক মেম্বার (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) সৈয়দ মনোহর আলীর নামও দেওয়া হয়েছে। একটি কতিপয় কুচক্রি মহল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানসম্মান ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে ও তাদের হীন মন মানুষিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। প্রকৃত সত্য হলো যে পাকিস্থান আমলের তিন তিনবারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান মরহুম সৈয়দ সঞ্জব আলী ছিলেন একজন বিচক্ষণ ও স্পষ্ঠবাদী লোক। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাহার আপন চাচাত ভাই মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোতাহর আলী লন্ডনের প্রবাস জীবন যাপন ত্যাগ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন বড় মাপের সংগঠক ও মহান মুক্তিযোদ্ধে রণাঙ্গণে অংশগ্রহণ করেন। এমতাবস্থায় বাংলার এই দুর্যোগ মুহুর্তে মরহুম সৈয়দ সঞ্জব আলী সাহেব তার এলাকার আশপাশের গ্রাম সহ নিজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে বাচাতে নিরলসভাবে কাজ করেন এবং সর্বজন সীকৃত যুদ্ধকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহীনি অত্র এলাকার কোন মুক্তিযোদ্ধার বাড়ী ঘর ও তার পরিবারের কোনরূপ ক্ষতিসাধন করতে পারে নাই। যা দিবালোকের মতো সত্য। এখানে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন যে, সৈয়দ মোতাহির আলী তাহার নিজ অর্থে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান কারীদেরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এদেরকে সুসংগঠিত করে ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে পৌছে দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর লন্ডনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সৈয়দ মোতাহির আলী পাক হানাদার বাহীনির সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হানাদারদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ দেওয়া হীন মনমানুষিকতার বহিঃপ্রকাশ। এরা যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য তা আমাদের জালালপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, মারাজ মিয়া, শামসুল হক, নুরুল ইসলাম, কমরু মিয়া, নজরুল ইসলাম চৌধুরী জলন্ত প্রমাণ।

মোঃ হায়দার আলী (মারাজ মিয়া)
বীর মুক্তিযোদ্ধা
নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর