,

চুনারুঘাটে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের জালিয়া বস্তি সমা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র মোঃ রুমন (২৪) কে খুন করেছে স্ত্রী। জানা যায়, গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে নিহত রুমন মিয়ার বসত ঘরে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত রুমনের হত্যা করা অবস্থা দেখে রুমনের বসত ঘরের পালংকে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা পুলিশকে খবর দিলে চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত ইকবাল হোসেন ও এ.এস আই সেলিম, এ.এস.আই মলাইসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমন মিয়ার বসত ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে আসে। এ সময় স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়াছে ঘরের ভিতরে নিহত রুমনের স্ত্রী ঘরের ভিতরে পলার সাথে দড়ি দিয়ে বাধা অবস্থায় স্থানীয়রা দেখতে পায়। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসী সেটা নিহত রুমনের লাশটি দেখে তার স্ত্রী কলসুমা আক্তার (২২) কে সন্দেহ জনক হিসাবে জিজ্ঞাসা করলে তাহার ভিতর থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে থানা পুলিশ কলসুমাকে সুস্থ অবস্থায় দেখে জিজ্ঞাসা করিলে তাহার স্বামী রুমনের হত্যা করার ঘটনা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পরে পুলিশ কলসুমা আক্তারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে আসে ও কলসুমার কথার অপর আরেকজন মৃত আতাব উল্লার পুত্র আব্দুল আলী (১৮) নামে দুইজনকে থানায় আটক করেছে পুলিশ। নিহত রুমনের মাতা আনোয়ারা বেগম তাহার পুত্র রুমনের লাশ হত্যা অবস্থায় দেখে পুত্রবধুকে হত্যা করেছে বলে শাশুড়ী অভিযোগ জানিয়েছেন। নিহত রুমনের পিতা ইসমাইল হোসেন জানান, আমার ২য় ছেলে রুমন এর সাথে কলসুমা আক্তারের বিয়ে হয় প্রায় ২/৩ বৎসর আগে। বিয়ের পর থেকেই প্রায় সময়ই পুত্রবধু কলসুমা আক্তার বাবার বাড়ী থেকে বিভিন্ন ভাবে ছেলেকে হত্যা করবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। বিগত ২মাস পূর্বে বাবার বাড়ি কলসুমা আক্তার থেকে প্রায় ২ মাস হয়েছে রুমনের বসত ঘরে আসছে। চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আমিরপুর নন্দির বাজার গ্রামের বিল্লাল মিয়ার কন্যা কলসুমা আক্তার (২২)। নিহত রুমনের বড় মেয়ে জান্নাত আক্তার (২), ছোট মেয়ে ইসনাত আক্তার (৮ মাস)। উল্লেখ্য যে, কিছুদিন পূর্বেও রুমনকে রুমনের বাবা মা বিদেশ পাঠানোর জন্য কিছু টাকা পয়সা ব্যয় করেছিল। কিন্তু বিদেশ না পার হয়ে তার স্ত্রী কলসুমা আক্তার সহযোগীদের নিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল। পরে পুলিশ রুমনের লাশটি ছুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতল মর্গে প্রেরণ করে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। নিহত রুমনের মাতা আনোয়ারা বেগমের কান্নায় তাহার আহাজারি করে ছেলেকে ফিরে পাবার জন্য অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন ও আনোয়ার স্বামী ইসমাইল হোসেন সে দিনমজুরী রিক্সা চালক হিসাবে জালিয়া বস্তি এলাকার একজন নিরীহ পরিবারের লোক। সে প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠু সু-বিচার পাওয়ার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর