,

বানিয়াচঙ্গে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামে প্রতিবন্ধী সৎ ভাইকে হত্যার অভিযোগে ২২ বছর পর বড় ভাইসহ ৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মাফরুজা পারভীন এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হল ওই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র আলী হায়দার (৫০), মৃত খুর্শেদ আলীর পুত্র রেনু মিয়া (৪০), আব্দুস সহিদের পুত্র হাবিব মিয়া (৪৫), নুর মিয়ার পুত্র আব্দুল আহাদ ও মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র রঞ্জু মিয়া (৪০)। এর মাঝে রঞ্জু মিয়া পলাতক রয়েছে। এ মামলার অপর আসামী আব্দুস সহিদের পুত্র আব্দুস সহিদের পুত্র আব্দুল আওয়াল মারা যায়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আগুয়া প্রকাশ টিক্কাজুরি গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম। তার দুই স্ত্রী। প্রথম পরে পুত্র আসামী আলী হায়দার ও দ্বিতীয়পরে জিয়াউল হক। সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে মৃত। তিনি বেঁচে থাকতেই জমি-জমা নিয়ে বড় পুত্র আলী হায়দারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে ১৯৯৪ সালের ১৩ মে সৎ ভাই জিয়াউল হক (১৩) কে প্রলোভন দিয়ে পাশ্ববর্তী একটি হাওরে নিয়ে যায় এবং অন্য আসামিদের সহযোগিতায় আলী হায়দার তাকে জবাই করে হত্যা করে। পরে তার লাশ হাওরে ফেলে রেখে প্রচার করে তাদের প্রতিপক্ষ লেচু মিয়া ও তার লোকজন জিয়াউল হককে হত্যা করেছে। পরদিন তার লাশ উপজেলার পঁচাসিংদা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে জিয়ার মা রূপচান বিবি বাদি হয়ে আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালতে শুনানীকালে ৩ জনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর মাঝে ১ জন মারা যায়। রাষ্টপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি সিরাজুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পিপি আব্দুল আহাদ ফারুক। আসামী পক্ষে ছিলেন আবু লেইছ চৌধুরীসহ সিনিয়র আইনজীবিগণ। সোমবারই দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার বাদি রূপচান বিবি জানান, দীর্ঘদিন পরে হলেও আদালতের রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।


     এই বিভাগের আরো খবর