,

আদালতে ঘাতক বাবুলের লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি : শিশু সুলতানাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে ৬ নরপশু

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার উত্তরসুর গ্রামে শিশু সুলতানা হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক বাবুল মিয়া (৩০)। সে উপজেলার হামিদনগর গ্রামের আছকির মিয়ার পুত্র। গতকাল রবিবার বিকেলে ডিবি পুলিশের এসআই সুদ্বিপ রায় ও আব্দুল করিমসহ একদল পুলিশ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাওছার আহমেদের আদালতে হাজির করলে এ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে দোকানে যাওয়ার কথা বলে উত্তরসুর গ্রামের আফজল মিয়ার কন্যা স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানা আক্তার (৯) বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় বাবুল, অলি মিয়া, মুগকান্দির সিজিল মিয়া, হামিদনগরের সিজিল, মুখলেছ, শামীম তাকে গামছা দিয়ে মুখ বেধেঁ তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওইদিন রাতে বাবুলের বাড়িতে নিয়ে সকলে মিলে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে সুলতানা মারা যায়। দুইদিন বাবুলের বাড়িতেই লাশটি লুকিয়ে রাখা হয়। পরে লাশ পঁচে গন্ধ ছড়ালে ১৯ আগস্ট দুপুরে ধানক্ষেতে ফেলে দেয়ার সময় বাবুলের ভাবি দেখে ফেলে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সুলতানার স্বজনরা থানায় গিয়ে লাশটি সনাক্ত করেন। ঘাতক বাবুল তার স্বীকারোক্তিতে আরো জানায়, গত ইউপি নির্বাচনে বাবুলের ভাই এলাছ মিয়া ও সুলতানার চাচা মেম্বার পদে নির্বাচন করে। এতে দুইজনই পরাজিত হয়। আর এলাছ মিয়ার পরাজয়ের পেছনে সুলতানার চাচা ও পিতার হাত রয়েছে এমন ধারণায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ওই ঘটনা ঘটায়। উল্লেখ্য গত শনিবার ভোরে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাবুল ও এ মামলার অন্যতম আসামী আব্দুস সামাদের সিজিল মিয়াকে আটক করে।


     এই বিভাগের আরো খবর