,

অবশেষে বাহুবল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষাঅফিসার সামছুন্নাহার পারভীনের বিদায়

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ ছাত্রদের বুকের তাজা রক্ত ঝড়িয়ে অবশেষে বাহুবল থেকে বিদায় নিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সামছুন্নাহার পারভীন। তার ঘুষ-দূর্নীতির প্রতিবাদে গত ১৯ অক্টোবর স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে ৩০ ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ ও মডেল থানা কমপ্লেক্স ভাংচুর হয়। এ ঘটনার পর তাকে অপসারণের দাবি উঠে। অবশেষে গত ৭ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জনস্বার্থে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় বদলীর আদেশ জারি করে। তার বদলীর খবরে বাহুবলের মাধ্যমিক শিক্ষাঙ্গনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। সূত্র জানায়, বিগত ২০১২ সনের ২১ অক্টোবর সামছুন্নাহার পারভীন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বাহুবল উপজেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি অত্র উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। ওইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে তিনি অবৈধ ও বেআইনী সুবিধা গ্রহণ করে তাদের নানা সুবিধা দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়বিহীন উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের লক্ষ্যে পাঁচটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ছকে তথ্য চেয়ে পত্র দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ অবস্থায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সামছুন্নাহার পারভীন উপজেলা সদরের প্রাচীন ঐহিত্যবাহী ডিএনআই মডেল হাই স্কুলকে পেছনে পেলে ৭ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত একটি বিদ্যালয়কে সেরা বিদ্যালয় উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেন। এ খবর প্রচার হলে উপজেলা সদরের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ডিএনআই মডেল হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী ও ম্যানেজিং কমিটির উদ্যোগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সামছুন্নাহার পারভীন-এর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ তোলে কার্যালয় ঘেরাও ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দিতে দিতে বিদ্যালয়ে ফিরে আসার পথে মডেল থানার সামনে পুলিশের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ মিছিলকারীদের উপর বেদড়ক লাঠিচার্জ করে এবং দুই শিক্ষকসহ কয়েক শিক্ষার্থী ধরে নিয়ে মারধোর করে। এতে অবস্থায় শিক্ষার্থীরা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জবাবে পুলিশ গুলি ও টিআর গ্যাস নিক্ষেপ করে পাল্টা জবাব দেয়। এতে উল্লেখিত সংখ্যক ছাত্র-জনতা আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সামছুন্নাহার পারভীনের অপসারণ ও বিচারের দাবি উঠে। এ পরিস্থিতিতে তিনি ঘটনার পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর