,

হবিগঞ্জে ফেন্সিডিল ও ৭০ পিস ইয়াবাসহ চিকিৎসক আটক

জুয়েল চৌধুরী ॥ সময়ের সাথে সমাজের অপরাধের ধরনও পাল্টে গেছে। এক সময় কথিত কিছু বাউল, ফকিরদের আস্তানায় মুষ্টিমেয় কিছু লোক গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক গ্রহণ করলেও এখন সর্বত্র মাদকের ভয়াবহতা হানা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকসহ অনেক ব্যবসায়ী ফেনসিডিল সেবন করছেন। কোন কোন চিকিৎসক ফেনসিডিল সেবন করে ট্রিটমেন্ট ও অপারেশনে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ মাদকের ব্যবসা করছেন। গতকাল বুধবার ভোরে হবিগঞ্জ শহরে নিষিদ্ধ ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ সামসুদ্দোহা সোহাগ (৩৫) নামের এক প্রাইভেট ক্লিনিকের চিকিৎসককে আটক করেছে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মির্জা মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন হাসপাতাল সড়কের গ্রীণ লাইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়। এ সময় ওই ক্লিনিকের ভেতরে ডেন্টাল চিকিৎসক সামসুদ্দোহা সোহাগের টেবিল থেকে ৮ বোতল ফেনসিডিল ও ৭০ পিস যৌন উত্তেজক নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তখন ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামও জব্দ করা হয়। ডাক্তার সোহাগ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার লাউতলি ছমির মুন্সিহাট গ্রামের মৃত আবুল খায়ের মোঃ নোমানের পুত্র। পুলিশ জানায়, ডাক্তার সামসুদ্দোহা সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ শহরের ওই ক্লিনিকে কর্মরত আছেন। ক্লিনিকে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি ইয়াবা সেবন করে রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। এ নিয়ে সেবা নিতে আসা রোগীরা তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একাধিকবার অভিযোগও করেন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ভোরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ডাক্তার সোহাগের কাছ থেকে উল্লেখিত মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ তাকে মাদক বিক্রির অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহের সৃষ্টি হয়। বছরখানেক আগে তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে দুই সন্তান নিয়ে আমেরিকা চলে যায়। এ কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ মানিকুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাদক সেবন ও সংরক্ষনের অভিযোগে ডাক্তার সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে তাকে ছাড়িয়ে নিতে একদল মাদকসেবী যুবক থানায় তদবির শুরু করে।


     এই বিভাগের আরো খবর