,

নকল চা পাতায় সয়লাভ নবীগঞ্জের হাট-বাজার

এস.এম সুলতান ॥ এক প্যাকেট চা পাতা চল্লিশ টাকা, আবার একই প্যাকেট চা পাতা অন্য দোকানে বিক্রি করছেন বিশ টাকা। প্রতিনিয়তই নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে নকল চা পাতা। অসাধু ব্যবসায়ীরা একেক জনের নিকট থেকে একেক দাম নিচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে- আসল চা পাতা কোনটি এবং নকল চা পাতা কোনটি । দেখা গেছে প্রায় বছর খানেক পূর্ব থেকে এ ধরনের ব্যবসায়ীদের আনা গোনা। তারা প্রতিনিয়ত নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারের চায়ে ষ্টলে ও বিভিন্ন ক্রেতাদের নিকট থেকে নিচ্ছেন এক ধর। আবার অন্য লোকের নিটক থেকে নিচ্ছেন অন্য দর। চা পাতার গুনগতমান নিয়ে ও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এতে দেখা গেছে চা পাতা তো দুরের কথা। বিভিন্ন গাছের পাতা গুড়ো মিশ্রিত। এক শ্রেণীর হোটেল ব্যবসায়ীরা এধরনের চা পাতা দিয়ে প্রস্তুত করছেন চা এবং তারা মনগড়া দাম নিচ্ছেন প্রতি কাপ চা আট থেকে দশ টাকা। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তারেক জানান মুলত একটি চা গাছ নামক পাতার গুড়ো দিয়ে চা তৈরি করা হয় এবং মেশিনে ভালভাবে গুড়ো করে তাহা বাজারজাত করা হয়ে থাকে। যদি আসল চা পাতার সাথে নকল বিভিন্ন গাছের পাতা ও গুড়ো মিশ্রিত থাকে তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে। ইদানিং আরো দেখা গেছে নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে এক শ্রেনীর অসাধু চা- পাতা বিক্রেতা তারা সংঘবদ্ধ হয়ে নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যান্ডের চা পাতা বিক্রি করছেন। এমন ও দেখা গেছে তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হাট বাজারে বিভিন্ন ব্যান্ডের চা পাতা বিক্রি করে ৩/৪ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। এতে তারা প্রতিদিনই বিক্রির অর্ধেক টাকা মুনাফা পাচ্ছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। একদিকে নকল চা পাতায় বিক্রিতে সয়লাব হচ্ছে নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজার অপরদিকে ঐ নকল চা পাতার চা পান করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন।


     এই বিভাগের আরো খবর