,

বানিয়াচঙ্গে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচঙ্গ উপজেলার কুর্শা খাগাউড়া গ্রামে কৃষক ফজলু মিয়াকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামী মতি মিয়া (৪০) কে ২ বছর পর গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ৪টার দিকে ডিবি পুলিশের এসআই ইকবাল বাহার ও আব্দুল করিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ খাগাউড়া বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর পুত্র। পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ মে হালুয়ার হাওরের ধানের খলা থেকে কৃষক ফজলু মিয়ার (৫০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের শিকার বজলু মিয়া একই উপজেলার কুর্শা খাগাউড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই বছরের ৩ মে রাতে গ্রামের পাশের হালুয়ার হাওরে খলায় রাখা ধান পাহারা দিতে গিয়েছিলেন। পরদিন সোমবার সকালে ওই এলাকায় স্থানীয় লোকজন তার গলা কাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কাজল মিয়ার পুত্র ফজলু মিয়ার ছোট ভাই জুবায়ের মিয়া বাদি হয়ে তাহের উদ্দিনকে প্রধান আসামী ও ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বানিয়াচঙ্গ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাদি অভিযোগ করেন মামলার তখনকার তদন্তকারী অফিসার মোবারক মিয়া আসামীদের দ্বারা বশীভূত হয়ে আসামী গ্রেফতার না করে চার্জশীট থেকে প্রধান আসামী তাহের উদ্দিনকে বাদ দিয়ে দেন। পরে জুবায়ের আহমেদ আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করলে আদালত মামলাটি ডিবি পুলিশে প্রেরণ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইকবাল বাহার জানান, প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে কারাগারে আছে। এ মামলার অন্যতম আসামী মতি মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। অপর আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর