,

মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী লংবাহারের নদীর চরের ভূমি আত্মসাৎ করার পায়তারা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জের মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী লংবাহার বেগমের কান্নার শেষ কোথায়। নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের মৃত মজুমদর আলীর মেয়ে মানসিক ও শারীরীক প্রতিবন্ধী লংবাহার বেগম, স্মামী ও তিন কন্যা সন্তান নিয়ে নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে প্রায় ৮ মাস যাবত ভাইয়ের বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। লংবাহারের মানবেতর জীবন যাপন সম্পর্কে তার চাচা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রওশন আলী জানান, আমার ভাতিজী লংবাহর বিগত ১২ বছর যাবত বাউসা বাজার সংলগ্ন শাখা বরাক নদীর চরে অন্যান্য পরিবারের সাথে অসহায় ভূমিহীন হিসেবে বসবাস করে আসছে। মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী লংবাহারের মানসিক রোগ জটিল আকার ধারন করায় নদীর চরের অন্যান্য পরিবারের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গ্রামের মুরুব্বিয়ান বৈঠকের মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী লংবাহার বেগম এবং তিন কন্যা সন্তানকে আমার জিম্মায় দিয়ে ঘর তালাবদ্ধ করে রাখেন। আমাকে জানিয়ে দেয়া হয় লংবাহার সুস্থ হয়ে গ্রামের মুরুব্বিয়ানের কাছ থেকে ঘরের চাবি নিয়ে পুনরায় বসবাস করার জন্য। প্রায় ৮ মাস আমার ভাতিজীকে আমার অধীনে রেখে চিকিৎসা করানোর পর এখন সম্পর্ন সুস্থ, লংবাহার ও তার কন্যা সন্তানদের বাসভবনে ফিরিয়ে দিতে গত দুই দিন পূর্বে রাতে আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বার সহ গ্রামের মুরুব্বিয়ানের শরানাপন্ন হই। বিজ্ঞ মুরুব্বিয়ান ওয়ার্ড মেম্বার আল-আহমেদের কাছে তালাবদ্ধ ঘরের চাবি দিয়ে ঘর খুলে দেওয়ার জন্য বলেন। গত রবিবার সকালে মেম্বার সাহেব আমার ভাতিজা সানর আলীকে নিয়ে ঘর খুলে দিয়ে তার কাছে সমজিয়ে দিয়ে আসেন। সানর ঘরে তালা দিয়ে লংবাহার ও তার তিন কন্যা সন্তানদেরকে নিয়ে আসে তাদের বসতভিটায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এসে দেখে ঘরের মধ্যে তালার উপরে আরেকটি বড় তালা লাগানো। আশপাশের লোকজনেরর মাধ্যমে জানতে পারি প্রভাবশালী মামদ মিয়া লন্ডনীর ভাগিনা টিপু গংগরা ঘরে তালা লাগিয়েছে। নদীর চরে অন্যসব ভূমিহীন পরিবারের মতো আমার ভাতিজী মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী লংবাহার স্বামী সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বসবাস করে আসছে। নদীর পার্শ্বে যুগ যুগ ধরে অসহায় ভূমিহীনরা বসবাস করে আসতেছে। প্রভাবশালী মামদ মিয়া ও তার ভাগিনা টিপু শাখা বরাক নদীর চরের সরকারি এই জায়গাটুকু আত্মস্বাৎ করার জন্য পায়তারা করতেছে। প্রতিবন্ধী ও ভূমিহীন পরিবারের সাথে এমন জঘন্য ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। প্রতিবন্ধী লংবাহার সরকারের দেওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা ও দিনমজুর স্বামীর রিকশা চালানোর টাকা দিয়ে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে মানবেতর জীবন যাপন কাটাচ্ছে। ঘরের ভেতরে থাকা ফার্নিচার, ষ্টিলের আলমারিসহ প্রায় দের লক্ষাধিক টাকার মালা-মাল আছে কি নেই আমরা জানিনা। টিপু গংগরা নিয়মিত হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক তাড়া করছে প্রতি মুহূর্ত। প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে টিপু গংগদের এ রকম জঘন্য অপরাধের বিচার চাই আমরা। চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।


     এই বিভাগের আরো খবর