,

ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহীনুর জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত

সংবাদদাতা \ নবীগঞ্জ উপজেলা ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহীনুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ইনাতগঞ্জের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াহিদের মেয়ে মাহমুদা চৌধুরী রুবাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক শাহীনুরের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কর্তৃক শিক্ষা ও জেলা শাখার সহকারী কমিশনার চাই খোয়াইহলা চৌধুরীকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। গত ২০ জুলাই তাদের বক্তব্য স্বপক্ষে স্বাক্ষি প্রমাণাধিসহ তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্ত কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন বাদী আব্দুল ওয়াহিদ, ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সদস্য ও ইউপি সদস্যসহ অন্যান্যরা। তদন্ত কর্মকর্তাকে আব্দুল ওয়াহিদ জানান, তার মেয়ে ইনাতগঞ্জ কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত। কিছু দিন পূর্বে ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহীনুরের বিরুদ্ধে তার মেয়ে মাহমুদা চৌধুরী রুবাকে যৌন নিপীড়নের জন্য ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। তার মেয়েকে শাহীনুর চিঠি পত্র দেয় এবং তার মেয়ের কাছে শাহীনুরের দেয়া একটি মোবাইল সীম রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাধে তিনি জানান, চিঠি পত্রের কোন প্রমাণ তার কাছে নেই এবং মোবাইল নাম্বার ও তিনি জানেননা। উভয়ের বক্তব্যও পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদনে উলে­খ করা হয়, আব্দুল ওয়াহিদের মেয়ে যখন ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তো তখন তিনি কোন অভিযোগ করেননি। বর্তমানে তার মেয়ের কাছে চিঠি পত্র আদান প্রদানের কোন প্রমাণ তার কাছে নেই। প্রতিবেদনে আরো উলে­খ করা হয়, আব্দুল ওয়াহিদের মেয়ে রুবার সাথে সরাসরি কথা বলা যায়নি। মোবাইল ফোনে রুবা জানায়, শিক্ষক শাহীনুরের বিরুদ্ধে তার বাবা যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পন্ন কাল্পনিক। শাহীনুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার জন্য তার বাবা মা তাকে চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু এ ধরণের কাজে শাহীনুর জড়িত নন বলে তিনি অভিযোগ করেননি। বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য জসিম উদ্দিন, মোশাহিদ আলম, মিহির লাল রায়, ইউপি সদস্য আজির হাসান আরজু, আখিল উদ্দিন জানান, মেয়ে কখনো অভিযোগ দায়ের করেনি। মেয়ের বাবা দেড় বছর পর মেয়েটি কলেজে অধ্যায়নকালীন সময়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের স্বপক্ষে মেয়ের বাবা সুস্পষ্ট প্রমাণাধি দিতে পারেনি। শাহীনুর একজন ভাল শিক্ষক বলেও তারা জানান। তদন্ত কর্মকর্তা সার্বিক মন্তব্য উলে­খ করেন, আপাতত দৃষ্টিতে আনীত অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা যায়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর