,

-ভুল বোঝাবুঝি’র অবসান ঘটিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করতে চান- যাঁরা বিভিন্ন বক্তব্য রাখছেন তারা রায় ভালোভাবে পড়েনি _প্রধান বিচারপতি সিনহা

সময় ডেস্ক ॥ প্রধান বিচারপতি ‘ভুল বোঝাবুঝি’র অবসান ঘটিয়ে তার মেয়াদ পূর্ণ করতে চান। রায়ের ব্যাপারে সরকারের আপত্তি রিভিউ পিটিশন আকারে দাখিল করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গত ২২ আগস্ট প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীর সঙ্গে বিচারপতি সিনহার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বৈঠক প্রধান বিচারপতির আগ্রহেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ড. রিজভী বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আমাকে চায়ের নিমন্ত্রণ দিয়েছিলেন। আমি আমন্ত্রণ রক্ষা করেছি।’ কী আলোচনা হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে, উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন একটা উত্তপ্ত অবস্থা চলছে। কাজেই আলোচনার বিষয়টা এখন আর বলতে চাই না।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধান বিচারপতি তাঁকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা যেসব মন্তব্য করেছেন, তবে সে ব্যাপারে দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতির বিশ্বাস, যাঁরা বিভিন্ন বক্তব্য রাখছেন, তারা রায় ভালোভাবে পড়েননি। প্রধান বিচরাপতি ড. রিজভীকে আরও জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকে রায়ে কোথাও খাটো করা হয়নি, বরং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তান প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য নিয়েও প্রধান বিচারপতি আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। অ্যাটর্নি জেনারেলকে সাক্ষী মেনে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য ঠিকভাবে আসেনি। গওহর রিজভী তাঁকে জানান, বিষয়টি অনেক দূর গড়িয়েছে। বিশেষ করে সংসদ সদস্যদের অপরিপক্ক, সংসদকে অকার্যকর বলা এ বিষয়গুলো রায়ে না এলেও পারতো বলে ড. রিজভী তাঁর অভিমত দেন। প্রধান বিচারপতি জানান, সরকার যদি রিভিউ করে তাহলে নিশ্চিয়ই আদালত এসব বিবেচনা করবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, রায়ের প্রতিক্রিয়ার জবাবে আমি পদত্যাগ করলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরকার। কারণ, এটা একটা জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। সারা বিশ্ব দেখছে। এখন আমি পদত্যাগ করলে তা হবে চাপের মুখে। বিশ্বে এটা খারাপ নজির হিসেবে চিহ্নিত হবে। ড. রিজভী তাঁকে বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে তিনি হাইকমান্ডে কথা বলবেন। উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সালে বর্তমান প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষ হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর