,

হবিগঞ্জে চাউলের বাজার অস্থিতিশীল ॥ বিপাকে ক্রেতারা

সালাহ উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জের চাউলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। গত এক থেকে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তা প্রতি ৭ শত থেকে সাড়ে ৭ শত টাকা দাম বেড়েছে। চাউলের দাম বাড়ার ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজন। এমতাবস্থায় বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, হবিগঞ্জে চালবাজদের কারসাজিতেই বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ টন চাউল আমদানি করা হলেও চাউলের বাজারে কোন প্রভাব পড়ছে না। কোন ভাবেই চাউলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিতরণের চাল বাজারে এলেও তা চলে যাচ্ছে চালবাজদের কবলে। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরও অসাধু চাল ব্যবসায়ীর কারণেই চালের বাজারের এ অবস্থা বলে মনে করছেন অনেকেই। বস্তা প্রতি চালের দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। জানা যায়, গত এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। দিন যত যাচ্ছে চালের দামও তত বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার শহরের চৌধুরী বাজার এলাকার চালের বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চালের দোকান গুলোতে আগের মত ভিড় নেই। দাম বেশি হওয়ার ফলে ক্রেতারা খুচরা ভাবে চাল কিনে নিচ্ছেন। তবে চিকন চালের তুলনায় মোটা চালের দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা তা ক্রয় করছেন। ২৯ জাতের চাল গত সপ্তাহে ২১ শত টাকা থেকে ২২ শত টাকা ধরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহ বিক্রি হচ্ছে ২৮ শত থেকে ২৯ শত টাকায়, নাজির শাইল গত সপ্তাহে প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৭ শত টাকা করে কিন্তু এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ শত টাকা দরে। একইভাবে মিনিকেট চাউল বিক্রি হচ্ছে ২৮ শত থেকে ৩৩ শত টাকা করে, মোটা চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২২ শত টাকা থেকে ২৩ শত টাকা করে। চাল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হবিগঞ্জের বেশ কিছু ব্যবসায়ীরা গুদামে চাল মজুদ রাখার কারণেই চালের দাম বেড়েছে। এমতাবস্থায় বাজার ব্যবস্থা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মনিটরিং করার কথা বলেছেন সাধারণ ভোক্তভোগীরা।


     এই বিভাগের আরো খবর