,

Exif_JPEG_420

বানিয়াচং আনসার-ভিডিপি ও পরিসংখ্যান অফিস তালাবদ্ধ থাকে দিনের পর দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলা আনসার-ভিডিপি ও পরিসংখ্যান অফিস দিনের পর দিন তালাবদ্ধ থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই! সরকারী গুরুত্বপূর্ণ এই অফিস দু’টিতে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় দু’জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু তারা নিয়মিত অফিসে না আসায় দিনের পর দিন অফিস দু’টি তালাবদ্ধ থাকে। ফলে জরুরী প্রয়োজনে অফিস দু’টিতে আগত লোকজন সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভোক্তভোগীরা জানান, উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় সনজিৎ কুমার দাস নামে একজন ইনস্ট্রাক্টর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন। কিন্তু তিনি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় নিজ বাড়ীতে বসবাস করে থাকেন। স্থানীয় এক লোককে রাতের বেলা অফিস পাহাড়া দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন তিনি। ওই লোক দিনের বেলা অফিসের দরজা-জানালা খুলে রেখে গেইট তালাবদ্ধ করে রাখে সারাদিন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সপ্তাহে বা ৩/৪ দিন পর এক/দু’দিনের জন্য অফিসে এসে অবস্থান করলে দরজা-জানালার পাশাপাশি গেইটও খোলা রাখা হয়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনজিৎ কর্মস্থলে নিয়মিত থাকেননা বলে এখানে বাসা/ডরমেটরী বরাদ্ধ নেননি। মাসে কয়েক দিন থাকার জন্য অফিসের একটি কক্ষেই খাট ফেলে বিছানাপত্র সাজিয়ে রেখেছেন। এভাবেই চলছে উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিস! এদিকে দীর্ঘদিন উপজেলা কমপ্লেক্সের মধ্যে পরিসংখ্যান অফিস থাকলেও সবসময় বন্ধ থাকতো এটি। মাসুদ নামে একজন পিয়ন মাঝে মধ্যে অফিসটি খুলতেন। একসময় এই অফিসটি উপজেলা কমপ্লেক্সের বাইরে আলীয়া মাদ্রাসা সড়কের একটি প্রাইভেট বিল্ডিংয়ে রুম ভাড়া নিয়ে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কেউ কোন তথ্যের জন্য গেলে সেখানেও অফিসটি বন্ধ পেয়ে ফেরত আসতে হয়। পরিসংখ্যান অফিসের কর্মকর্তার দায়িত্বে কে সে তথ্য পর্যন্ত ভোক্তভোগীরা জানতে পারেননা। এলাকাবাসী অবিলম্বে গুরুত্বপূর্ণ এই সরকারী অফিস দু’টিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক লোকবল নিয়োগ করে অফিস দু’টি সচল করতে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর