স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বাউরকাপন গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলার রৌয়াইল গ্রামে
বসবাসরত আশরাফুজ্জামান হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একই গ্রামের আলাল মিয়া গং এর বিরুদ্ধে তার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে বাড়ী ঘর নির্মাণের কাজ শুরুর অভিযোগ এনে যে মামলা দায়ের করেছিলেন তদন্তে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মামলা নং- ৬২/১৮ (নবী) এর সরজমিন তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নবীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আতাউল গণি ওসমানী তার অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ অলি উল্লাকে দায়িত্ব প্রদান করলে তিনি সরজমিন তদন্তে গিয়ে বাদীর অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাননি। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, বাদী আশরাফুজ্জামান তদন্তকালে তাকে জানান, মামলার তপশীল বর্ণিত ভূমি তিনি পৈত্রিক স্বত্ব হিসাবে প্রাপ্ত। নালিশা ভূমিতে বিবাদী আলাল মিয়া গং ভাটোয়ারা না করে তার পৈত্রিক ভূমিতে জোরপূর্বক বাড়ীঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। তাই তিনি বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিবাদী আলাল মিয়া তদন্তকালে জানান যে, নালিশা ভূমি তাদের মৌরশী স্বত্ব। এসএ ৪০১নং খতিয়ানের ৫২২, ৫২৪, ৫২৫নং দাগের মোট ০.৪১ একর ভূমি তাদের দাদা ইরফান উল্লার নামে রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে বাদী আশরাফুজ্জামানের পিতা আব্দুল হেকিম ৫২২নং দাগের ০.০৭ একর ভূমি ৫৯০৮/৮৮ নং রেজিষ্ট্রি দলিলে এবং ৪৪৩/৯৬ নং রেজিষ্ট্রি দলিলে ০.০১২০ একর ভূমি বিক্রি করেন। বাদীর পিতা পূর্বেই তাদের প্রাপ্য ভূমির চেয়ে অতিরিক্ত ভূমি বিক্রি করার পরেও বাদী অহেতুক তাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে সার্ভেয়ার মোঃ অলি উল্লাহ তার মন্তব্যে উল্লেখ করেন, বাদী-বিবাদীর দাখিলীয় কাগজাদি ও জিজ্ঞাসাবাদে এবং এলাকার লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, নালিশা দাগের ভূমি বাদী ও বিবাদীর মৌরশী স্বত্ব। বাদীর পিতা আব্দুল হেকিম পৈত্রিক সম্পত্তি তাদের প্রাপ্য অংশের চেয়ে অতিরিক্ত সম্পত্তি বহু পুর্বেই ৫৯০৮/৮৮ এবং ৪৪৩/৯৬ নং রেজিষ্ট্রি দলিলে অন্যত্র বিক্রি করার পর বর্তমানে বাদীর দাবীর কোন যৌক্তিকতা নেই। বিবাদীগণ তাদের পৈত্রিক ভূমিতে বাড়ী ঘর নির্মাণক্রমে ভোগদখলে রয়েছেন। বাদীর অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। নবীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আতাউল গনি ওসমানী তার অফিসের সার্ভেয়ার কর্তৃক দাখিলীয় তদন্ত প্রতিবেদনের সাথে একমত পোষনক্রমে তা গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য প্রেরণ করেছেন।