,

নবীগঞ্জে হাট বাজার ইজারা নিয়ে বানিজ্য, জেলা প্রশাসকের নিকট পুনঃ টেন্ডারের আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের এবার হাট বাজার ইজারা নিয়ে ঘটেছে এক লঙ্কাকান্ড। অভিযোগ উঠেছে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের পকেট ভাড়ি হলেও বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সরকার। গত বুধবার ছিল হাট বাজার ইজারা প্রদানের নির্ধারিত তারিখ।

এর আগে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিডিউল বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে কিছু লোক কাউকে টেন্ডারে অংশ নেয়া থেকে বিরত রেখে দাপট দেখিয়ে ভাগ বাটোরা করে হাট বাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ব্যাপারে আজিজুল হক চৌধুরী গত ২২ মার্চ বঞ্চিতদের পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।

উক্ত আবেদনে হাট বাজার ইজারা প্রদানে ব্যাপক নিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ধরেন। অভিযোগে প্রকাশ নবীগঞ্জ হাট বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি নং-১/১৪২৫ বাংলা সনের সিডিউল ক্রয়ের তারিখ ছিল গত ১২ ও ১৩ মার্চ। দু’দিনে প্রায় ১২ শতাধিক সিডিউল ফরম বিক্রি করা হয়। ১৪ মার্চ বেলা ১ ঘটিকা পর্যন্ত সিডিউল ফরম দাখিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে টেন্ডার বাক্স রক্ষিত ছিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে বেলা ১২ টার মধ্যেই টেন্ডার বাক্স বন্ধ করে রাখা হয়।

ফলে বেশীর ভাগ লোকজন তাদের সিডিউল ফরম জমা দিতে পারেন নি। অনেক’কে জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। বেলা ২টার দিকে টেন্ডার বাক্স খোলার পর দেখা যায় মাত্র ২৫/৩০ টি সিডিউল ফরম জমা হয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমান দরপত্র দাতাদের সিডিউল ফরম জমা দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রেখে কতিপয় নেতা ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অনীয়ম ও দুর্নিতির আশ্রয় নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরী করে হাট বাজার ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এ ঘটনায় নবীগঞ্জের সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। ২৪টি হাট বাজারে সিডিউল ক্রেতারা তাদের ফরম জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুণঃ টেন্ডারের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট দাবী জানিয়েছেন। অন্যতায় তারা আদালতের আশ্রয় নিবেন বলেও জানিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর