,

শায়েস্তাগঞ্জে প্রেমিক যুগল পুলিশের খাঁচায়

জুয়েল চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক যুগলকে একমাস পর নোয়াপাড়া থেকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে প্রেমিকা আফসানা আক্তার লুবনা (১৫) অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দিকে প্রেমিক সাইফুল আলম ওরফে শাহ আলমকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায়, মক্রমপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের প্রবাসি জহুরুল ইসলামের কন্যা আফসানা আক্তার লুবনা শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জগতপুর নানা আব্দুল হাইর বাড়ি থেকে পড়ালেখা করে আসছে। লুবনা শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলে আসা যাওয়ার সুবাদে জগতপুর গ্রামের সাহাবুদ্দিনের পুত্র ইলেকট্রিশিয়ান সাইফুল আলম ওরফে শাহ আলম (২০) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি লুবনার নানার বাড়ির লোকজন আচঁ করতে পেরে তাকে শাসন করে। এক পর্যায়ে লুবনা ও শাহ আলম একজন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। গত ১১ মার্চ সকালে স্কুলে যাবার কথা বলে লুবনা বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এ ব্যাপারে লুবনার নানার বাড়ির লোকজন নিখোঁজ মর্মে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় জিডি করে। এর প্রেক্ষিতে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই আমিনুল ইসলাম নোয়াপাড়া এলাকার জনৈক পারভীন বেগমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। একটি সূত্র জানায়, লুবনা তার পরিবারের লোকজনের কথায় যেতে না চাইলে তার মামা শামীম বাদি হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রেমিক শাহ আলমকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। অপরদিকে লুবনাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টায় লুবনা হাসপাতালে এ প্রতিনিধিকে জানায়, তারা একজন আরেকজনকে ভালবেসে। তার পরিবার মেনে না নেয়ায় তারা পালিয়ে গিয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে এবং নোয়াপাড়া সায়হাম মিলে চাকুরি নিয়ে নোয়াপাড়ায় বসবাস করছে। এ ব্যাপারে এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, জিডির বলে তাদের আটক করা হয়েছিল। মামলা দায়ের হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর