,

বাসর ঘর থেকে ফাঁসির আসামি গ্রেফতার

সময় ডেস্ক ॥ একটি হত্যা মামলায় ৮ বছর জেলে ছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের খলিলনগর গ্রামের আবদুল গফুর তালুকদারের ছেলে মনির হোসেন (৩০)। এরপর ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এর মধ্যে মামলার রায়ে মনিরসহ তিন জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। মনিরের বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এরপর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। এদিকে বুধবার বিয়ে হয় মনিরের। ওই রাতে শ্বশুরবাড়িতে আয়োজন করা হয় বাসরের। কিন্তু খবর পেয়ে বুধবার রাতে বাসর ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর গুলিস্থান সিদ্দিক বাজার জুতার ফ্যাক্টরির কর্মচারী আলমগীর হোসেন কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একদল ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। আলমগীরের সব কিছু ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিতে গেলে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ওই বছরের ১৯ আগস্ট কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর মোঃ জনি (২৬), মোঃ হাসান (২০) ও মনির হোসেনের (৩০) এর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই জনি, হাসান ও মনিরের ফাঁসির রায় দেন। ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ সাফায়েত হোসেন বলেন, কদমতলী থানার একটি হত্যা মামলায় মনিরসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালত থেকে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী মনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর