,

নবীগঞ্জে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসার আড়ালে চোরাই মাল বিক্রি

উঠতি বয়সের চোরদের নিয়ে সিন্ডিকেটে ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য আঞ্চলিক সড়কের পাশে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসার আড়ালে চোরাই মাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ী লাইসেন্সবিহীন সিন্ডিকেটের ব্যবসা করে রাতারাতি বড় লোক হবার স্বপ্ন দেখছেন। সুত্রে প্রকাশ, প্রায় দশ বার বছর পূর্বে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের আউশকান্দি নিলাম বাজার সড়কের দেওতৈল গ্রামস্থ রাস্তার পাশে মৃত মশুদ মিয়ার কলোনীর কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নেন হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মৃত শহিদ আলীর পুত্র শরিফুল মিয়া। প্রথমে সে ক্ষুদ্র পরিসরে একটি কক্ষ ভাড়া নেয়।আস্তে- আস্তে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসার প্রচার প্রসারতার ফলে এখন সে ৭/৮ টি ভ্যান গাড়ি নিয়ে এবং ১৫/২০জন গ্রাম্য ভাঙ্গাড়ির মাধ্যমে  রমরমা ভাঙ্গাড়ি ব্যবসা করছে। দীর্ঘদিন যাবত তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অভিযোগ, ওই ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী শরিফুলের রয়েছে উঠতি বয়সের চোরের সিন্ডিকেট। সংঘবদ্ধ চোরেরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে রাতের আধারে টিউবওয়েল, টিউবওয়েলের মাথা, রড, পাত, লোহা, তামা, শিশা, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র-যেমন টিভি, ফ্রিজ, বাধ্য যন্ত্র রেডিও সহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিস চুরি করে এনে অল্প মূল্যে পেয়ে এখানে বিক্রি করে আসছে এলাকার পরিচিত ছিটকে চোরেরা। শরিফুল চোরাইকৃত মালামাল কয়েকটি কক্ষে কৌশলে রেখে সপ্তাহ দশদিন পর পর রাতের আধারে ট্রাক-পিকআপ দিয়ে পাচার করছে ঢাকা, নরসিংদী, চট্্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বড় বড় ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায় দের কাছে। অপরদিকে তার সাথে এলাকার সন্ত্রাস প্রকৃতির লোকদের রয়েছে বিরাট সখ্যতা। ব্যবসায়ী শরিফুল তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে গড়ে তুলেছে এক সা¤্রাজ্য। ওই ব্যবসায়ীর এমন কার্যকলাপ দেখে এলাকার সচেতন মহল মূখ খুলে কথা বলার কোন সাহস রাখেননি। কারণ হচ্ছে, যে মালিকের ঘরে থেকে এমন ব্যবসা করছে মালিক ও তার লোকজন এলাকার প্রভাবশালী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেওতৈল গ্রামের যুবক জানান, ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী শরিফুল প্রথমে যে নিয়মে ব্যবসা শুরু করছিল মনে হচ্ছিল সে একজন সৎ ব্যবসার মনোভাব নিয়ে এলাকায় এসেছে। এখন মনে হচ্ছে সে একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। কারণ সে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদের দ্বারা চোরাই মালামাল সংগ্রহ করছে। ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী শরিফুলের সাথে সাংবাদিকগন কথা বলতে চাইলে সে জানায়, ব্যবসা করতে লাইসেন্স লাগে না। তাকে জরিমানা করবে একমাত্র প্রশাসনের লোক। যারা তাকে আইনের আওতায় নিবে তাদের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে বলেও জানা গেছে। কোন মুহুর্তেই তাকে কিছু করা সম্ভব নয়। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন ওই অসাধু ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিলে এলাকা তথা উপজেলার লোকজনদের উপকার হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর