,

নবীগঞ্জে কবিরাজ নাসিরের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে লোকজন

জুয়েল চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে বিলাসবহুল আস্তানা খোলে মোল্লা নাসির উদ্দিন আবারও বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বাজারের লোকজন তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। জানা যায়, মোল্লা নাসির উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে কবিরাজি করে গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা সহজ সরল মানুষ ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। সে নিজেকে জ¦ীনের বাদশা দাবী করে। ২৪ ঘন্টায় প্রেম ভালবাসা বিবাহ বিচ্ছেদ ও বিভিন্ন রোগবালাই নির্ণয়ের নামে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। তার প্রথম হাজিরা ফি ১ হাজার ১ টাকা এবং একটি একদামের কালো ছাগল ও দুই কেজি মিস্টি নিয়ে তাকে। তাছাড়া দালালদের মাধ্যমে রোগী নিয়ে নতুন করে প্রতারণা শুরু করেছে। তার এই কাজে নিয়োজিত লোকজন মিলে রোগীদেকে কৌশলে ভুল বুঝিয়ে নতুন আস্তানা তাজপুর এলাকার একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। এছাড়াও শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় সপ্তাহে দুই দিন সে আসে। প্রতারণার শিকার লোকজন জানান, প্রলোভনে দালালদের মাধ্যমে তারা জ¦ীন মোল্লার কাছে যান। এ সময় নাসির উদ্দিন তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। একই অবস্থা হয়েছে ঠান্ডা মিয়ারও। অনেকে আবার লোকমুখে শুনতে পান নাসিরউদ্দিন ওরপে জ্বীন মোল্লার কথা। তিনি ইমামবাড়ি বাজারে তার চেম্বারে গেলে বন্ধ দেখে ফিরে আসার সময় কয়েকজন লোক তাকে নতুন আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর সাদা আলখেল্লা পরিহিত এক ব্যক্তি আহ্ মওলা বলে তাকে স্বাগত জানান। তিনি তার সমস্যার কথা খুলে বললে সে জানায় সব দয়ালের ইচ্ছা। জ্বীন মামার উছিলায় তুমি খুবই শ্রীঘ্রই সস্তান লাভ করবে। তবে জ্বীন মামাকে খুশি করতে ১ কেজি মিষ্টি, একটি কালো রংয়ের ছাগল, আড়াই গজ সাদা কাপড়সহ মিলাদ দেয়ার জন্য আগরবাতি, মোমবাতি দিতে হবে। তুমার পক্ষে সম্ভব না হলে টাকা দিয়ে যাও, আমার লোকজন এগুলো কিনে দিবে। তার কথামত তিনি ৫ হাজার টাকা দিয়ে চলে আসেন। তার এসব প্রতারণা ঘটনরা নিয়ে ব্যবসায়িদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তার যে কোন সময় তার এই আস্তানাটি উড়িয়ে দেবেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি এসএম আতাউর রহমান জানান- বিষয়টি শনেছি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।


     এই বিভাগের আরো খবর