,

গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন -ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী

আলী হাছান লিটন \ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী বলেছেন, গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। নদীর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শেখ হাসিনার সরকার গৃহিত প্রকল্প খাল, বিল, নালা ও নদী খনন চলমান রয়েছে। কালের বিবর্তনে আর আধুনিক খেলার প্রতিযোগিতায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফেরদৌস আলম নৌসাদ ও চার গ্রামবাসীর আজকের আয়োজন প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক খেলাগুলোর মধ্যে নৌকা বাইচ অন্যতম। এই ধরনের প্রতিযোগিতা সমাজের একে অপরের মাঝে পারিবারিক বা সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ণ ও বিনোদনের সর্বোত্তম মাধ্যম। বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর এমন আয়োজন করা প্রয়োজন। নৌকা বাইচের এ আয়োজন অব্যাহত থাকলে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আবারো স্বরূপে ফিরে আসবে। গতকাল সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে রাধাপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফেরদৌস আলম নৌসাদ এর উদ্যোগে ও চার গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় কুশিয়ারা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিশাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেছেন নবীগঞ্জ, জগন্নাথপুর ও সিলেটের  বিনোদন পিপাসু হাজার হাজার  মানুষ। শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন এই প্রতিযোগিতায় ঢাক-ঢোলের তালে-তালে গ্রাম বাংলার গান আর বৈঠার ছন্দে মাতিয়ে তুলেছিল কুশিয়ারা নদীর ঢেউকে। আর সেই ছন্দে ছন্দে  তাল মিলিয়ে নদীর  তীরে হাজার হাজার শিশু-কিশোর-কিশোরী, থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত নেচে-গেয়ে এ নৌকাবাইচ উপভোগ করেছেন। বাইচ শুরুর  আগে বিকেল থেকে নদীর  মধ্যে বিভিন্ন নৌকায় মানুষে ভরে যায়। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মোট ৮টি নৌকা অংশ গ্রহন করে, এর মধ্যে ১ম স্থান অর্জন হরে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথ পুর উপজেলার আলাগদী গ্রামের সোনার বাংলা, ২য় স্থান অর্জন করেছে নবীগঞ্জের বাগাউড়া গ্রামের পংকীরাজ, ৩য় হয়েছে নবীগঞ্জের হালিতলা গ্রামের শাহজালালের তরী।এতে ১ম পুরস্কার দেয়া হয় ১টি ঘোড়া, ২য় পুরস্কার ২১ইঞ্চি রঙীন টিভি ও ৩য় পুরস্কার ১টি খাসি, ৪র্থ ও ৫ম  পুরষ্কার টেবিল ফ্যান। দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ এওলা মিয়ার সভাপতিত্ব ও ধারাভাষ্যকার এম এস লিমন এর পরিচালানায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ মেম্বার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি এড. সুলতান মাহমুদ, ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজল, সাংবাদিক নিলুফা ইয়াসমিন, সামাজিক সংগঠন অগ্রযাত্রা নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এম. মুজিবুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হাছান লিটন, নবীগঞ্জ পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক  জুয়েল তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ্ ফয়সল তালুকাদার ও সাধালন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাজু, এনটিভি নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু, চ্যানেল ২৪ নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সুহেল, সাংবাদিক ছনি চৌধুরী প্রমূখ। এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন দলমত নির্বিশেষে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।


     এই বিভাগের আরো খবর