,

আইনমন্ত্রী কাছে ৩ কাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

জেলা রেজিষ্ট্রটারের হাতে নিকাহ নামার বই জব্দ

জুয়েল চৌধুরী :: অনিয়ম-দুর্নীতির ও ভূয়া কাবিনের অভিযোগে এনে জেলা কাজী সমিতির এক নেতাসহ ৩ কাজীর বিরুদ্ধে আইনমন্ত্রী বরাবরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শায়েস্তানগর এলাকার মোঃ আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তি। কিছু সংখ্যক কাজীরা সরকারী নীতিমালা অমান্য করে তাদের মনগড়াভাবে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার করছেন মর্মে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউপির কাকাইলছে ও আজমিরীগঞ্জ সদরের কাজীর অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শৃংখলা বিঘিœত হচ্ছে। ওই ইউনিয়নগুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজীরা বাল্য বিবাহ, ভুয়া জন্ম সনদ সৃষ্টি করে নাবালিকা মেয়েদের বয়স বাড়িয়ে, বর ও কন্যার অনুপস্থিতে এবং স্বাক্ষরবিহীন নিকাহ নামায় বিবাহ সম্পাদন করে আসছে। তারা নিজেদের ইচ্ছামতে কাবিনের মোহরানা মুল্যের উপর নিজের ফি ও সরকারী রাজস্ব আদায় করেন। নিকাহ নামায় মোহরানার কলাম ফাকাঁ রেখে কন্যাপক্ষের সাথে বরপক্ষের কোন ধরনের মনোমালিন্য দেখা দিলে কন্যাপক্ষ ও বরপক্ষের মধ্যে যে আলোচনা মর্মে নির্ধারিত মোহরানা দেওয়ার কথা তার চেয়ে বাড়িয়ে ওই ফাকাঁ জায়গায় নিজেদের ইচ্ছেমত টাকার অংক বসান কন্যা পক্ষের ইচ্ছা অনুসারে, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে। শুধু তা নয়, কন্যা-বর ও স্বাক্ষীর স্বাক্ষরের জায়গা খালি রেখে পরবর্তিতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যে কোন ব্যক্তিকে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্থ করে আসছে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ ইলিয়াস হোসেন এর নেতৃত্বে কাজী মাওঃ আবজল হোসেন ১নং আজমিরীগঞ্জ, কাজী করম উদ্দিন ২নং বদলপুর ইউ/পি, কাজী মাওঃ জয়নাল আবেদীন জালাল ৪নং কাকাইলছেও ইউ/পি, আজমিরীগঞ্জ-হবিগঞ্জদের কাছ থেকে তাদের অনিয়মের ব্যবহৃত ৩টি নিকাহ রেজিস্টার বহিঃ জব্ধ করেন জেলা রেজিস্টার। অভিযোগ হবিগঞ্জ জেলা সদরসহ কিছু সংখ্যক কাজীদের অনিয়ম দিনদিন বেড়েই চলেছে। তারা সরকারের বিধি বিধানের তোয়াক্কা করছেন না, এদের অনিয়মে জনভোগান্তি বাড়ছে। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নিকাহ রেজিস্ট্রার ফিস আদায় করার নিয়ম থাকলেও কাজীরা মনগড়া আদায় করে আসছে। এ ব্যাপারে সচেতন মহলের কেউ কোন ধরনের প্রতিবাদ করলে জামাত নেতা কাজী সভাপতি আব্দুল জলিল ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মন্নান যোগসাজশে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। শুধু তাই নয় হবিগঞ্জের কাজী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জামায়াত নেতা হওয়ায় সুবাদে সারা জেলাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির পুকুর বানিয়ে আসছে। তাদের সাথে বিভিন্ন স্থানে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা থাকাতে জনসাধারণ ভিতস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ ইলিয়াস হোসেনের সাথে আলাপের ফলে তিনি তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ অক্টোবর ২০১৮ইং তারিখে অনিয়মকৃত ৩টি নিকাহ বহি জব্দ করার কথা স্বীকার করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর