,

‘নবীগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ’ সহ বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ১১ই নভেম্বর ২০১৮ইং রোজ রবিবার হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জের জনতার এক্সপ্রেস, দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার, দৈনিক বিবিয়ানাসহ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও জাতীয় পত্রিকা দৈনিক সমকালে ‘হবিগঞ্জে প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন, নবীগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ’ সহ বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট মানহানিকর ও ষড়যন্ত্র মূলক। মূলত, তথাকথিত হাফিজ আইয়ুব আলী এক প্রতারক, চোর, জাল টাকার ব্যবসায়ী। সে বিভিন্ন অপকর্মের হোতা। ইতিপূর্বে সে স্থানীয় দেবপাড়া বাজারে জাল টাকাসহ জনতার হাতে আটক হয়। পরে থাকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়া হয়। এনিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। এছাড়াও সে স্থানীয় কান্দিগাঁও গ্রামের মকবুল ও মখলিছের দোকানে জাল টাকাসহ আটক হয়। কিছু দিন পূর্বে রুদ্রগ্রাম সিএনজি স্ট্যান্ডে ফয়সল আহমদ চৌধুরীর দোকানে জাল নোট দিয়ে পণ্য কিনতে গেলে জাল নোটসহ সে ধরা পড়ে। প্রায় তিন বছর পূর্বে সে স্থানীয় খছরু মেম্বারের কাছে ৪ লক্ষ জাল টাকা বিক্রি করতে গেলে জনতার দাওয়া খেয়ে সে পালিয়ে যায়। এলাকায় সে একজন চোর হিসেবে পরিচিত। সে আউশকান্দি ইউনিয়নের অন্তরগত জালালপুর গ্রামের ছুরুক মিয়ার বাড়িতে লজিংয়ে থাকা অবস্থায় ৭ হাজার টাকা চুরি করলে জনতার হাতে ধরা পড়ে এবং তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে টাকা উদ্ধার করে জনতা। প্রায় চার বছর পূর্বে সে গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের হাঁসের ফার্ম থেকে ২শত হাঁস চুরি করলে স্থানীয় ভাবে আমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শালিস বৈঠকে চুরি প্রমাণিত হওয়ায় তার ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও লোগাঁও গ্রামের ছাও মিয়ার মোবাইল চুরি, কোনা বনগাঁও জামে মসজিদ থেকে মোবাইল চুরির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে প্রায়ই আমার মুলি বাঁশের বাগান থেকে মুলি চুরি করলে একদিন থাকে মুলি বাঁশ সহ হাতেনাতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে আর চুরি না করার ওয়াদা করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আইয়ুব আলী একজন প্রতারক বটে। সে লোগাঁও গ্রামের ছতই মিয়ার কাছে বিভিন্ন প্রতারণা করে তার কাছে ১৫ হাজার টাকা পায় বলে দাবী করে। পরবর্তীতে স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে আইয়ুব আলীর কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত তাকে প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করে সতর্ক করে দেন। এছাড়াও সে আউশকান্দি ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের শাহেনা বেগমের কাছ থেকে আউশকান্দি সংলগ্ন কিছু জায়গা খরিদ করার কথা বলে ১ লক্ষ টাকার বায়না পত্র লিখিয়ে টাকা না দিয়েই বায়না পত্র নিয়ে পালিয়ে আসে। এ ব্যাপারে শাহেনা বেগম থানায় জিডি করেন। পরবর্তীতে আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে তার কাছ থেকে বায়না পত্র উদ্ধার করা হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি এবং আমার ছেলে ফয়েজ আমীন রাসেল তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছি। যা সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক। সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁদা না দেয়ায় তার পিতাকে বাড়িতে থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পায়তারা করতেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। মূলত সে আমার কাছ থেকে কিছু জায়গা খরিদ করে। যে জায়গা আমি আবুল খায়ের গোলাপের নিকট থেকে খরিদ করেছিলাম। কিš’ রেজিস্ট্রারী করিনি। পরবর্তীতে আইয়ুব আলী সেই জায়গা খরিদ করলে আমি আবুল খায়ের গোলাপ মিয়ার কাছ থেকে যে জায়গা ক্রয় করেছিলাম তা আমার নামে রেজিস্ট্রারী না করে সরাসরি আইয়ুব আলী ভাই ইয়াওর আলীর নামে রেজিস্ট্রারী করিয়ে দেই। যে জায়গার মূল্য ছিল ৯ লক্ষ টাকা। রেজিস্ট্রারীর পরে বিভিন্ন সময়ে সে ৩লক্ষ টাকা দেয় এবং বাকি টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে। সে আমার পাওনা টাকা আত্মসাৎ করতে এই নাটক সাজিয়েছে। পত্রিকার সে আমার পরিবারে রাজাকার রয়েছে বলে উল্লেখ করে। সে নাম উল্লেখ না করে ঢালাও ভাবে মিথ্যাচার করেছে। মূলত আমি একজন ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বাক্ষীও বটে। পক্ষান্তরে আইয়ুব আলীর পিতা আব্দুল মান্নান একজন স্বাধীনতা বিরুধী ও পাক-হানাদার বাহিনীর সহযোগি। অন্যান্য রাজাকারদের সাথে থেকে ১৯৭১ সনে লুটপাট ও বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। তার পিতা ১৯৭১ সনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী উপেন্ড দত্তের ৫ কেদার বাড়ি জবর দখল করে। এখনও তারা এই বাড়িতেই বসবাস করছে। সংবাদে সে উল্লেখ, ২০১৪ সনে আমার নিকট থেকে ৩ কেদার জমি ২০ লক্ষ টাকায় ক্রয় করে ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রদান করেছে। যা সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্য।  সংবাদে আমি তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করেছি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত, আমি এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করিনি। আমি গজনাইপুর ইউনিয়নের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান। সে সমাজে আমার ভাবমুর্তি নষ্ট করতে ও আমার জায়গা বিক্রির পাওনা টাকা আত্মসাৎ করতে মিথ্যা তথ্যনির্ভর বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে উপস্থ্পান করেছে। তার বিরুদ্ধে উপরে উল্লেখিত অভিযোগ সমূহের প্রমানাদি আমার নিকট রয়েছে। ভবিষ্যতে তার আরো অপকর্ম জনসম্মুকে প্রকাশ করবো। আমি তথাকথিত হাফিজ আইয়ুব আলী কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ সমূহের ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
শাহ্ নেওয়াজ
সাবেক চেয়ারম্যান
১১নং গজনাইপুর ইউ/পি
সাং- লোগাঁও, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর