,

নবীগঞ্জে পীর-দেওয়ানের পরিবারের দুই সন্তানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

স্টাফ রিপোর্টার :: রাত পোহালেই ভোট যুদ্ধ। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও পারিবারিক ইমেজ আর বংশগত মর্যাদা নিয়ে মুখোমুখি হেভিওয়েট দুই প্রার্থী। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া তনয় অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্য হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তিনি। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ড. রেজা। নির্বাচনী এলাকার নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলায় রক্তের বন্ধনে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। সৌহার্দের জনপদখ্যাত ওই এলাকায় রাজনীতির সম্প্রীতি নিয়ে প্রস্তুত ভোটার। ড. রেজার কঠিন প্রতিপক্ষ নির্বাচনী এলাকায় তিনবারের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য সিলেট বিভাগ আওয়ামী লীগের ফাউন্ডার খ্যাত প্রয়াত দেওয়ান ফরিদগাজী তনয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেওয়ান শাহ নেওয়াজ মিলাদগাজী। তৃণমূলে সু-পরিচিত তিনি। পীর আর দেওয়ান বংশের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নিয়ে জমে উঠেছে ভোট উৎসব। প্রচারণার শেষ দিনে শান্তিপূর্ণ ভাবেই গণসংযোগ শেষ করেন দুই প্রার্থী। রাজনীতির আড়ালে দুই প্রার্থীর পারিবারিক ইমেজ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। ড. রেজা আর মিলাদগাজী এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠন আর নির্বাচনী এজেন্ট নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থী।  হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকায় ২০টি ইউনিয়ন রয়েছে। মোট ভোটার ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৭। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৫। নবীগঞ্জ উপজেলায় ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ২ শত ৪৯ জন। ওই উপজেলায় ১১৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। উপজেলায় পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৭ এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৩৮২ জন। ১১৫টি ভোটকেন্দ্রে ৪৮০টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে হিসেবের তালিকায় রয়েছে ৭২টি। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ৫২টি। প্রতিটি ভোট একজন পুলিশের এসআই এবং এএসআইর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১২ জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আনসার ভিডিপি অফিস সূত্র জানায় ওই উপজেলায় এ বছর ১ হাজার ৩৮০ জন আনসার সদস্য ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা টহলে থাকবেন। সেনাবাহিনী যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর থাকবে। ভোটকেন্দ্র পাহারা ছাড়াও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ভোটারদের হয়রানি বা টেবিল কাস্টের চেষ্টা করলেই বিশেষ একটি গ্রুপ প্রতিরোধে এগিয়ে যাবে। কোন পরিস্থিতিতেই ভোটের মাঠে নিয়ন্ত্রণ হারাতে চায় না বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিশন নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রতীক হিসেবে যেকোনো মূল্যে নির্দেশনা বাস্তবায়নে কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি চেষ্টা চালাবে। ওদিকে, নির্বাচনে যেকোনো প্রকারের বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা ঠেকাতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সার্বিক বিষয় তদারকি করবে সেনাবাহিনী। এ ছাড়াও সিলেট বিভাগের আলোচিত ওই আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বাসদের চৌধুরী ফয়ছল শোয়েভ (মই) কৃষক শ্রমিক জনতালীগের অ্যাডভোকেট নুরুল হক (গামছা) ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আবু হানিফ (হাতপাখা) ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আলহাজ হাফেজ জোবায়ের আহমেদ (মোমবাতি)।


     এই বিভাগের আরো খবর