,

ছদ্মবেশে বিভিন্ন বিমানবন্দর পরিদর্শনে বিমান প্রতিমন্ত্রী

সময় ডেস্ক :: দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বেশ সক্রিয় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তিনি পরিদর্শন করছেন বিভিন্ন বিমানবন্দর। আবার কোনো প্রটোকল না নিয়ে ছদ্মবেশেও যাচ্ছেন। যাত্রী সেজে গত ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তিনি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দর ও বিমান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনবার পরিদর্শনে গেছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী। এর একটিতে তিনি কাউকে না জানিয়ে নিজের পরিচয় গোপন রেখে যান। গতকাল মঙ্গলবারও তিনি শাহজালালে গিয়েছিলেন। এটাও বলতে গেলে ছিল ঝটিকা পরিদর্শন। চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে গতকাল হঠাৎই তিনি শাহজালালে অবতরণ করেন। অপরদিকে কয়েকদিন আগে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত বিমানের জেলা বিক্রয় অফিস পরিদর্শনে তিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখেন। যাত্রীর পরিচয়ে সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। বিমান সূত্র জানায়, কোনো প্রকার প্রোটকল ছাড়া শুধু নিজ ড্রাইভারকে নিয়ে ছদ্মবেশে মতিঝিলে বিমানের জেলা বিক্রয় অফিস পরিদর্শনের সময় প্রায় ৩০ মিনিট গ্রাহক সেজে বসে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। বিমানকর্মীরা বুঝে ওঠার আগেই তিনি স্থান ত্যাগ করেন। সেখানে সেবাদানের ধীরগতি এবং বিমানকর্মীদের সিটে না থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। বিপণন বিভাগের বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে মন্ত্রণালয়ে তলব করেছেন তিনি। ফলে প্রতিমন্ত্রীর গোপন পরিদর্শনের ভয়ে বিমানবন্দরে কার্যরত বিভিন্ন সংস্থা ও এয়ারলাইেন্সর কর্মকর্তা কর্মচারীরা আতঙ্কিত। এদিকে, গত মঙ্গলবার সকালে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান, মেম্বার (অপস) এয়ার কমডোর মোস্তাফিজুর রহমান ও বিমানের এমডি ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদকে নিয়ে শাহআমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। পরিচালক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান তাদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর শাহআমানত বিমানবন্দর সম্পর্কে গত এক বছরের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে ব্রিফিং দেন পরিচালক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জাহান। ব্রিফিং শেষে প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে থাকা মাস্কাটগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী তাদের কোনো সমস্যার কথা জানতে চাইলে কয়েক যাত্রী বিমানবন্দরের সার্বিক সেবার মান মোটামুটি সন্তোষজনক বলে অভিমত প্রকাশ করেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী প্রত্যেক বিভাগ ঘুরে টয়লেটে গিয়ে দেখতে পান ময়লা। সেইসঙ্গে টিস্যু পেপার নেই। এখানে দাঁড়িয়ে তিনি এ সমস্যা দূরীকরণের জন্য আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় মাহবুব আলী শাহআমানত বিমানবন্দরে কার্গো কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ ও মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেও একইভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। দুই বিমানবন্দরেই টয়লেট অপরিষ্কার, যাত্রীসেবা, বিমানের সময়সূচি ও লাগেজ ডেলিভারি দেয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু অনিয়ম দেখতে পেয়েছেন তিনি। কর্মকর্তাদের ডেকে দ্রæততম সময়ের মধ্যে অনিয়ম বন্ধ করে আদর্শমান নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। যদি কোনো যাত্রীর কাছ থেকে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অভিযোগ তার কানে যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।


     এই বিভাগের আরো খবর