,

পৃথক বজ্রপাতে নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট ও মাধবপুরে ৩ জনের মৃত্যু

প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে চা শ্রমিক তরুণীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে পৃথক সময়ে বজ্রপাতে তারা মারা যান। নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুজাখাইড় গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে সিজিল মিয়া (৪৫)। চুনারুঘাটের আমু চা বাগানের প্রদীপ উড়াও’র মেয়ে সীমা উড়াও (১৮), ও মাধবপুর বুল্লা গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়া (৩৭)। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, সকালে বৃষ্টির সময় বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাওরে মাছ ধরতে যান নবীগঞ্জের কৃষক সিজিল মিয়া। এ সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গনি ওসমানী নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের কাছে এ সহায়তা তুলে দেন। এদিকে, চুনারুঘাটের আমু চা বাগানের পুল পাড় এলাকায় শুক্রবার সকালে ধান কাটতে যায় চা বাগানের প্রদীপ উড়াও’র মেয়ে সীমা। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুল পাড় নামক স্থানে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে, একইদিন দুপুরের দিকে মাধবপুর উপজেলার ছানকা বুল্লা গ্রামে জমিতে ধান কাটতে যান ফয়সল মিয়া ও তার সঙ্গীরা। কর্মরত অবস্থায় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে মারা যান ফয়সল। এ সময় আহত হন একই গ্রামের মাহফুজ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া ও কালা মিয়ার ছেলে সামছু মিয়া। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল বলেন, নিহতদের সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর