,

বানিয়াচংয়ে ১ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৮ম শ্রেণির ছাত্র গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলার উমরপুর গ্রামে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বিদ্যুৎ বর্মা (১৫) নামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে একই গ্রামের বিনোদ বর্মার পুত্র ও বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং একই গ্রামের ভিকটিম কাদিরগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গুরুত্বর আহত অবস্থায়  বিকালে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা স্বপ্না বর্মা বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে তার শিশু কন্যা বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় কৌশলে প্রতিবেশী বিদ্যুৎ বর্মা ওই শিশুকে একটি রুমে নিয়ে তার সাথে যৌন সঙ্গম করে। এক
পর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। যেহেতু একই বাড়ির বিষয়টি তাই পারিবারিক ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে এবং রফাদফার চেষ্টা চলে। কিন্তু বিষয়টি পুলিশের নজরে গেলে গত বৃহস্পতিবার বিকালে মারর্কুলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মনির সাধ্য ধর্ষক বিদ্যুৎকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ধর্ষণের চেষ্টা করেছি কিন্তু করতে পারিনি। এর আগেই লোকজন আমাকে ধরে ফেলেছে। শুক্রবার বিকালে ধর্ষক ও শিশুকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ধর্ষক একই বক্তব্য দেয় এবং শিশুটিও ধর্ষণের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।  গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় সদর হাসপাতালে গাইনী ওয়ার্ডে গিয়ে ওই শিশু এবং এসআই মনির সাধ্যকে পাওয়া যায়। এসআই জানান, শিশুটি বিজ্ঞ আদালতের নিদের্শ মতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার তার ডাক্তারী পরীক্ষা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা জানা যাবে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার নবাগত ওসি (তদন্ত) প্রজিত দেব জানান, মা এবং ভিকটিমের ভাষ্য অনুযায়ী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নেয়া হয়েছে। তবে ডাক্তারী পরীক্ষার পর ধর্ষন হয়েছে কিনা তা বলা যাবে। এর আগে কিছু বলা যাবেনা।


     এই বিভাগের আরো খবর