,

হবিগঞ্জ শহরে ৩ ঘন্টার ভারি বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরে ৩ ঘন্টার ভারি বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ৩ ঘন্টা টানা বর্ষণ হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় কাদা জমে যায়। এছাড়া শহরের নি¤œাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পৌরবাসী। তবে শুক্রবারে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তাঘাট খারাপ থাকায়  পরিক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারেনি। শহরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে গিয়ে যায়, শায়েস্তানগর হকার্স মার্টেক,  ইনাতাবাদ, চৌধুরীবাজার, সার্কিট হাউজ রোড, নোয়াহাটি, পুলিশ  সুপাারের বাস ভবন, বগলবাজার, উত্তর শ্যামলী, নোয়াবাদ, মোহনপুর, শ্যামলী, সিনেমা হলসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বাস ভবন, পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, কালিগাছ তলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান অনেকে। পৌরবাসীর অভিযোগ, পানিনিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বছরের পর বছর পৌরবাসী জলাবদ্ধতার সাথে যুদ্ধ করে আসলেও সমস্যা সমাধানে উদাসিন পৌর কর্তৃপক্ষ। শায়েস্তানগর এলাকার পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ি চা”চু মিয়া জানান শায়েস্তানগর এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে আমরা ব্যবসায়িসহ এলাকাবসীকে সিমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হয়। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ এই দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বলেন, ‘শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য অনেক টাকা খরচ করে নর্দমা নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও জলাবদ্ধতার হাত থেকে আমরা রা পাচ্ছি না।’


     এই বিভাগের আরো খবর