,

চুনারুঘাটে দেবরের ছুরিকাঘাতে ভাবী নিহত

সংবাদদাতা :: চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম বড়াইলে দেবরের ছুরিকাঘাতে ভাবী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দেবর সাইফুর রহমান (১৯) কে আটক করেছে। নিহত হুছনা (৩২) ওই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রিপন মিয়ার স্ত্রী। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জীবিকা নির্বাহের জন্য রিপন কুয়েত চলে যায়। স্ত্রী হুছনা দুটি সন্তান নিয়ে রিপনের ফুফু খুদেজার সাথেই বসবাস করতেন। খুদেজা বানুর বিয়ে দেয়া হয়েছিল বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের ছুরত আলীর নিকট। ছুরত তার বাড়ী ঘর বিক্রি করে বড়াইলেই জায়গা কিনে শশুর বাড়িতে বসবাস করছে। রিপন ও ছুরতের পাশাপাশি ঘর তাদের নানা বিষয়ে মনোমনোমালিন্য হত। কুয়েত প্রবাসী রিপন মিয়ার আপন ফুফাত ভাই ঘাতক সাইফুর। ঘাতক সাইফুর জানায় তার মা খুদেজার সাথে হুছনার প্রায় সময় ঝগড়াঝাঁটি হত। সাইফুর চুনারুঘাট সরকারী কলেজে একাদশ শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। গতকাল তার ওরিয়েন্টশন ক্লাস ছিলো। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে সাইফুর তার মায়ের সাথে ঝগড়া দেখতে পায় এবং তার মাকে মারপিট করে হুছনা। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে বুকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে বলে সাইফুর স্বীকার করে। আশপাশের লোকজন হুছনাকে চুনারুঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় রাস্তায় হুছনার মৃত্যু হয়। চুনারুঘাট হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান মৃত অবস্থায় হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িলে পড়লে আশপাশের লোকজন সাইফুরকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে আটক করে রেখে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে থানার এসআই অলক বড়ুয়া ও এসআই আলী আজহার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনার স্থলথেকে রক্তমাখা ছুরি ও ঘাতককে আটক করেন। অপর একটি সূত্র জানায়, রিপন প্রবাসে থাকার সুযোগে সাইফুলের সাথে হুসনার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে সাইফুর হুসনাকে হত্যা করতে পারে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি আজমিরুজ্জামান জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর