,

নবীগঞ্জে ভিক্ষুক প্রতিবন্ধী চাচাকে আসামী করে সৎ ভাতিজির মামলা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের এক প্রতিবন্ধীকে প্রধান আসামী, তার ২ ভাই ১ বোন সহ ১০ জনকে আসামী করে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ঐ প্রতিবন্ধীর সৎ ভাতিজি। মামলা সুত্রে জানা যায়, গহরপুর গ্রামের খোরশিদ উল্লাহ ও তার সৎ ভাতিজি হনুফা বেগমের সাথে ৬ শতক ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিনযাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরেই হনুফা বেগম প্রতিবন্ধী চাচা খোরশিদ উল্লাহ, অপর দুই চাচা ও ফুফুসহ ১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করায়, প্রতিবন্ধী পরিবারের উপর, “মরার উপর খরার ঘা” হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর পূর্বে প্রতিবন্ধী খোরশিদ উল্লাহ বিলে মাছ ধরতে গেলে তার পায়ে গুরুত্বর আগাত পেয়ে বাম পায়ে পচন ধরে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি পা কেটে ফেলেন। এর পর থেকেই স্ট্রেচারে ভর করে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা ভিত্তি করে স্ত্রী, ২ ছেলে সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। বর্তমানে বয়সের ভারে নুয্য হয়ে স্ট্রেচারে ভর করেও হাটা চলা করতে পারেন না। দিন-রাত বিছানায় পড়ে থাকেন। তার ১ পুত্র বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে এবং অপর পুত্র মোঃ তাজুল ইসলাম নবীগঞ্জ শহরে রিকসা চালিয়ে প্রতিবন্ধী বাবা মা সহ পরিবারের লোকজনের ভরণ পোষন করে আসছে। তাজুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, দক্ষিণ গহরপুর মৌজা, জে এল নং ১৫১ ও ৩৭৯ নং দাগে আমাদের বাড়িতে মৌরসী স্বত্ত হিসেবে মোট ৪২ শতক ভূমি রয়েছে, পৈত্তিক সুত্রে আমার সৎ চাচাতো বোন হনুফা বেগম ও চাচা ভাগ বন্টনের মাধ্যমে ১৪ শতক ভূমি পেয়েছেন, আমার পিতা, দুই চাচা ও ফুফুসহ তারা ২৮ শতক ভূমি পেয়েছেন। ২৮ শতক জায়গার মধ্যে হনুফা বেগম আরো ৬ শতক ভূমি দাবি করে আমাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। আমাদেরকে হয়রানী করার জন্য, আমার প্রতিবন্ধী পিতা, চাচা, ফুফু আমাদেরকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।


     এই বিভাগের আরো খবর