,

স্ত্রীও বিচার চান সাহেদের…

সময় ডেস্ক : রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে জালিয়াতির অভিযোগে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিষয়ে প্রতারণাসহ নানা তথ্য উঠে আসছে। গত সোমবার থেকে অনেক ভুক্তভোগী ফোন করে এবং সরাসরি র‌্যাবের কাছে তাঁর অপকর্মের অভিযোগ জানিয়েছে। সাহেদ প্রতারণায় ছাড় দেননি নিজের পরিবারকেও। সাহেদের স্ত্রীর মুখে উঠে আসে তার নানা অপকর্মের চিত্র। সাহেদের বিচারও দাবি করেন স্ত্রী সাদিয়া। সাহেদের স্ত্রী সাদিয়া গণমাধ্যমকে জানান, শাহেদের প্রতারণার শুরু হয় ২০০৮ থেকে। পরিবারের লোকদের সাথেও প্রতারণা করতো সে। এটা তার নেশায় পরিণত হয়েছে। এই প্রতারকের বিচারও চান তিনি।

সাহেদের স্ত্রী সাদিয়া বলেন, কয়েকবার আমি তার কাছ থেকে চলেও গেছি। আমার পরিবারের কয়েকজনের সাথেও তার টাকা পয়সা নিয়ে গণ্ডগোল ছিলো। ওনার জন্য আমার পরিবারের অন্যরাও সমস্যায় আছে। জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং সুবিধা পাওয়ার জন্য কয়েক বছর ধরেই সাহেদ ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করতেন। এভাবে রিজেন্ট গ্রুপসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হয়ে তিনি মো. সাহেদ নামে নিজে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পরিচয় দিলেও নেতারা জানিয়েছেন, এ পরিচয়টিও ভুয়া। এদিকে শাহেদ যাতে বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সাহেদের প্রতিষ্ঠানের পিআরও ও তার ভায়রাকে আটক করেছে র‍্যাব।


     এই বিভাগের আরো খবর